রূপপুর প্রকল্পে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে সরকার গঠিত দু’টি তদন্ত কমিটি। প্রকল্পের ৪টি ভবনের আসবাবপত্র কেনা, ফ্ল্যাটে তুলতে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৯টি ভবনের আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে তুলতে ৬২ কোটি টাকার বেশি অনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আজ এ রিপোর্টটি উচ্চ আদালতে দাখিল করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পের বালিশ কিনতে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ৯শ ৫৭টাকা। আর একটি বালিশ ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ হয়েছে ৭৬০ টাকা। গত মে মাসে এমন খবর প্রচারের পর আলোচনার ঝড় উঠে। ২০ তলায় একটি বালিশ তুলতে ৭৬০ টাকা খরচে হতবাক হন সবাই।
এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন একজন আইনজীবী। সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন আদেশ না দিতে হাইকোর্টে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। তারপরও ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
সোমবার আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দুটি রিপোর্ট দাখিল করে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়, চারটি ভবনের আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম সরবরাহ কাজের চুক্তির মূল্য ১শ ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অথচ মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে ৭৭ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ এখানে অনিয়ম হয়েছে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকার বেশি।
এই বালিশকাণ্ডের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে দুটি তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিপোর্ট দুটির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।