fbpx
হোম রাজনীতি রাস্তায় ফেলে অচেতন হওয়া পর্যন্ত পেটানো হলো বিএনপি নেতাকে
রাস্তায় ফেলে অচেতন হওয়া পর্যন্ত পেটানো হলো বিএনপি নেতাকে

রাস্তায় ফেলে অচেতন হওয়া পর্যন্ত পেটানো হলো বিএনপি নেতাকে

0

দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) ভোর পাঁচটার দিকে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ গুড়পট্টি এলাকায় এই নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে সড়কে ফেলে দেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় রহিম নেওয়াজকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার কারণে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশও স্থগিত করা হয়েছে।
লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরে কয়েক দফা মোসাইটরকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরে কয়েক দফা মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি, বিএনপির অভ্যান্তরীণ কোন্দল থেকে এই হামলা হতে পারে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দল ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকাল ৯টায় শহরের আলাইপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সমাবেশে অংশ নিতেই বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে চকবৈদ্যনাথ গুড়পট্টি এলাকায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত লাঠি ও রড নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে সড়কে ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা রহিম নেওয়াজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতর অবস্থান নেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, রহিম নেওয়াজ জনসমাবেশ সফল করার জন্য ভোরে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন। তার গতিপথ দুর্বৃত্তদের আগে থেকেই জানা ছিল। হত্যার উদ্দেশ্যেই বিএনপির এই নেতাকে মারধর করা হয়েছে।
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সকালে ইত্তেফাককে জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আপাতত জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা তারা আহত নেতা রহিম নেওয়াজের চিকিৎসা নিয়ে ব্যাস্ত আছেন।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করে ইত্তেফাককে জানান, হামলার সময় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। দলের অভ্যান্তরীণ কোন্দোলের কারণে বিএনপির লোকজনই এ ঘটনা ঘটাতে পারেন। কথিত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ইত্তেফাককে জানান, বিএনপি নেতার ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। তবে হামলাকারী শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।

 

 

 

 

 

 

 

ইত্তেফাক

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *