fbpx
হোম অন্যান্য যে নওমুসলিমের হাত ধরে মুসলমান হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ !
যে নওমুসলিমের হাত ধরে মুসলমান হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ !

যে নওমুসলিমের হাত ধরে মুসলমান হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ !

0

ইসলাম ধর্ম প্রচারক দ্বীন মোহাম্মদ শেখ। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলি শহরের অধিবাসী ছিলেন তিনি।
জানলে অবাক হবেন যে, এই ধর্মপ্রচারক ছিলেন একজন নওমুসলিম। আর তার হাত ধরেই কিনা ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ।

১৯৪২ সালে জন্ম নেয়া এ ব্যক্তি ১৯৮৯ সালে জীবনের ৪৭টি বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হওয়ার পর থেকেই তিনি ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, ১ লাখ ৮ হাজার মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন দ্বীন মোহাম্মাদ। তিনি আল্লাহওয়ালী জামেয়া নামের একটি মসজিদের সভাপতি। তিনি অসহায় ইসলাম গ্রহণকারীদের আবাসনের জন্য প্রায় ৯ একর জায়গারও ব্যবস্থা করেছেন। যারা সেখানে বসবাস করবে। ইসলাম গ্রহণের পর দ্বীন মোহাম্মদ শেখ বলেন, আমি সব সময় ইসলামকে ভালোবাসি। ইসলাম গ্রহণ করার আগে পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন করতে শুরু করি। কোরআন পড়ার পর বুঝতে পারি ৩৬০ দেবতার পূজা করে কোনোদিন কোনো উপকারে আসেনি আমার।

ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে প্রথমে তিনি গোপনে গোপনে কোরআন তিলাওয়াত করতেন। তারপরে তিনি রমজানের রোজা শুরু হওয়ার আগে ইসলাম গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি রমজান শুরু হওয়ার একদিন আগে থেকেই রোজা রাখা শুরু করেন।

উল্লেখ্য যে, ছোটবেলা থেকেই তিনি ইসলামের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা করতেন। ইসলামের প্রতি তার ভক্তি-অনুরাগ দেখে তার মা তাকে ১৫ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পরও ইসলামের প্রতি তার কৌতুহল কমেনি। তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য মোহাম্মদ জাগসি নামে এক মুসলিম শিক্ষক খুঁজে বের করেন। তারপর থেকে নিয়মিত পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বাণী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। ভাগ্যক্রমে দ্বীন মোহাম্মদ শেখের চাচাও একই মানসিকতার লোক ছিলেন। তারা দুজন এই মর্মে একমত হলেন যে, তারা একে অপরকে সব কাজে সহায়তা করবেন। দ্বীন মোহাম্মদ তার পরিবার থেকে ইসলামের দাওয়াত শুরু করেন। পরিবারের শক্তিশালী সমর্থনই ইসলামের প্রচার কাজে তার মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানের মাতলি শহরের চিনি শিল্পের মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জেনারেল সিকান্দার হায়াত তাকে দ্বীনের প্রচারে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেন। তবে দ্বীন মোহাম্মদ শেখ সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তবে তিনি সিকান্দার হায়াতকে নওমুসলিমদের চাকরি দেয়ার প্রস্তাব করেন। আর তাতেই রাজি হয়ে যান সিকান্দার হায়াত। সেনা কর্মকর্তা ও তার মেয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে নওমুসলিমদের চাকরির ব্যবস্থা করেন। দ্বীন মোহাম্মদ শেখের ধর্ম প্রচারের কথা পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়লে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তার কাছে এসেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তার আবাসিক বাড়ির মসজিদেই নওমুসলিম শিশু কিশোর নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে নামাজ ও পবিত্র কোরআন শেখার ব্যবস্থা। নারী শিক্ষকদের দিয়ে নারীদের কোরআন শেখারও ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে কোরআন ও নামাজ শেখানোর ব্যবস্থা রেখেছেন তিনি।

তিনি নিজে মুসলিম হওয়ার পর এত বিশাল সংখ্যক মানুষকে ধর্মে দীক্ষিত করলেও তিনি নিজে কোনো ধর্মীয় গ্রুপ বা দলকে সমর্থন করেন না। বরং তার কাছে সব মুসলমান ভাই ভাই। সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করাকেই নিজের জীবনের মিশন হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
2

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *