যেভাবে করোনা মোকাবেলা করেছে কেরালা
করোনা ভাইরাসের থাবায় ভারতে এখনো থেমে নেই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা। প্রতিদিনি বেড়ে চলেছে আক্রান্ত আর মৃত্যু।
এরি মধ্যে ভারতের কেরালা রাজ্য করোনা মোকাবিলায় অনন্য উদাহরণ দেখিয়েছে। যে রাজ্যে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। কিন্তু কম সময়ে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপের কারণে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্যটি।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যে করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অনেকটা দিশেহারা ভারতের কেন্দ্রিয় সরকারও। যথাযথ পদক্ষেপ নিলেও মানছেন না সাধারণ মানুষ। তাই যে পদক্ষেপগুলো কেরালা রাজ্যে নেওয়া হয়েছে তা ভারতের বাকি অংশের জন্য মডেল হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছেন।
যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে কেরালা রাজ্য সরকার: কেরালায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর পরই ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ করোনা ভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিত ৯টি দেশ থেকে ফেরা মানুষকে বিমানবন্দরে অনেক কড়াকড়ি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারির পর এসব দেশ থেকে যারা ফিরেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। অথচ গোটা ভারতে এসব কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল আরও দুই সপ্তাহ পরে।
তবে কড়াকড়ির মধ্যেও ইতালি ফেরত এক দম্পতিকে থামাতে পারেনি রাজ্য সরকার। ওই দম্পতি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্ট করেনি। তাদেরকে শনাক্ত করার আগেই তারা বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল, বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছিল। তাদের সংস্পর্শে এসে থাকতে পারে এমন ৯০০ মানুষকে শনাক্ত করে আইসোলেশনে পাঠানো হয় শুধুমাত্র করোনার ঝুঁকি কমানোর জন্য।
করোনায় নিয়োজিত সেখানকার প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। নিয়মিত রোগীদের খবর রাখা, খাবার নিয়মিত যাচ্ছে কিনা ইত্যাদি তদারকিতে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চিকিৎসা দিয়ে গেছেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের জন্য।
করোনা নিয়ে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ শাহিদ জামিল কেরালার পদক্ষেপ নিয়ে বলেন, কেরালার পদক্ষেপ কার্যকর হয়েছে কারণ রাজ্য সরকার একইসঙ্গে কঠোর ও মানবিক ছিল। গণহারে পরীক্ষা, আইসোলেশনে নেওয়া, আক্রান্ত শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা করা এগুলো হলো প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর উপায়। যা তারা করতে পেরেছে।