fbpx
হোম আন্তর্জাতিক বিশ্বে ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকার ঝুঁকিতে আছেন
বিশ্বে ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকার ঝুঁকিতে আছেন

বিশ্বে ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকার ঝুঁকিতে আছেন

0

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড়ো ধরনের ঝাঁকুনি এসেছে। এর ফলে একের পর এক কর্মহীন হয়ে পড়ছে মানুষ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যপী শ্রম খাতের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রায় অর্ধেকই জীবিকার ঝুঁকিতে পড়ছে।

বিশ্বব্যাপী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে ১৬০ কোটি মানুষই জীবিকার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই সংখ্যা বিশ্বব্যপী কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত মোট কর্মীর প্রায় অর্ধেক। সংস্থাটির হিসাবে, বিশ্বে শ্রমের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ৩৩০ কোটি।

আইএলওর জেনেভা অফিস থেকে গতকাল বুধবার প্রতিবেদনটি একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিকে কর্মসংস্থানে প্রভাবের যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল, এখন তা আরো বেশি খারাপ পরিণতির দিকে যাচ্ছে।

আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, কোটি কোটি মানুষের আয় না থাকার অর্থ হলো তাদের পর্যাপ্ত খাবার নেই। নেই তাদের ভবিষ্যত্ নিরাপত্তাও। কোটি কোটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাকের ডগায় নিঃশ্বাস চলে এসেছে। তাদের সঞ্চয় নেই। ঋণ নেওয়ার সক্ষমতাও নেই। এটাই প্রকৃত চিত্র। যথাযথ সহায়তা না পেলে এ পরিস্থিতিতে তারা হারিয়ে যাবে।

এতে বলা হয়, গত দুই সপ্তাহ ধরে ৬৮ থেকে ৮১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। চীনের বাইরে অন্যান্য দেশে প্রতিষ্ঠান বন্ধের হার বেশি। এর ফলে ব্যাপকহারে কর্মহীন হয়ে পড়ছে মানুষ। কর্মহীন হওয়ার তালিকায় অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে (৮০ শতাংশ) আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ। এর পর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৭০ শতাংশ কর্মী ঝুঁকিতে। অন্যদিকে আমেরিকায় এ হার প্রায় ২২ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী ৪৩ কোটি ৩০ লাখ প্রতিষ্ঠানে মারাত্মক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ কোটি খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা, ১১ কোটি ১০ লাখ উত্পাদনের সঙ্গে যুক্ত, ৫ কোটি ১০ লাখ খাদ্য ও সেবা এবং ৪ কোটি ২ লাখ আবাসনসহ অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের রক্ষায় দ্রুত, লক্ষ্যভিত্তিক ও নমনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএলও। বিশেষত ঋণ ছাড় ও এ ব্যবস্থা সহজীকরণসহ প্রণোদনায় আন্তর্জাতিক সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক মহামারি ও চাকরির ঝুঁকিতে থাকাদের রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকায় আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন বলেন, মহামারির কারণে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও যুবকশ্রেণি বেশিহারে কর্মহীন হয়ে পড়ছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *