যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরী করছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের জাতীয় পর্যায়ে অ্যালার্ট লিস্ট তৈরি করছে। এ কাজে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র । বুধবার (২৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেরোরিজম-২০১৯’ এ বাংলাদেশ বিষয়ে একথা বলা হয়েছে।
২০১৯ সালে সন্ত্রাসী ঘটনা আগের বছরের থেকে সামান্য বেড়েছে উল্লেখ করে রিপোর্টে বাংলাদেশ সন্ত্রাস পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, সন্ত্রাসবাদ দমনে অর্থায়ন, স্থানীয় আইন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে উল্লেখ আছে।
রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে যেসব টেরোরিস্ট অবস্থান করছে তাদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত (আইএসআইএস) বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যোগাযোগ নেই বলে দাবি করে বাংলাদেশ সরকার। এই বছরে (২০১৯) উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে বাংলাদেশে জাতীয় অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিট আনুষ্ঠানিক কর্তৃত্ব (অথরিটি) পায় এবং ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান বেকারির সন্ত্রাসী ঘটনায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে রিপোর্টে বলা হয়, বিচার ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকার কারণে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত মামলাগুলো জমে রয়েছে এবং শাস্তি দেওয়ার ঘটনা ১৫ শতাংশেরও কম। বাংলাদেশ অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) ও প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড (পিএনআর) ঠিকমতো পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণ করে না জানিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করলেও টেরোরিস্ট ওয়াচলিস্ট নেই বাংলাদেশে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনও উদ্বেগ আছে জানিয়ে বলা হয়, একটি নকল পিস্তল নিয়ে একজন ব্যক্তি একটি প্লেন হাইজ্যাক করতে চেয়েছিল এবং বেশ কয়েকবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে যাত্রীরা। সীমান্ত এবং স্থল ও বিমানবন্দরে (পোর্ট অফ এন্ট্রি) নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য ওয়াশিংটন সহায়তা করছে জানিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক্সপ্লোসিভ শনাক্তকারী কে৯ টিম শাহজালাল বিমানবন্দরে টহল দিলেও সবসময় সেখানে অবস্থান করে না।