fbpx
হোম জাতীয় মোমেন-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে
মোমেন-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে

মোমেন-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে

0

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আজ।  দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন।

তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আজ মিলিত হবে।  গুরুত্বপুর্ণ এই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক উঠে আসবে।

র‌্যাব ও এর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের দৃশ্যমান টানাপোড়েন চলছে।  বাংলাদেশ একাধিকবার ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলেছে।  কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত সেটি তুলে নেয়নি।

আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রস্তাবিত দু’টি সামরিক চুক্তি-আকসা ও জিসোমিয়া সই করার অগ্রগতি জানতে চাইতে পারে।

এছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেকওয়ার্ক নিয়েও আলোচনা হতে পারে।  পাশাপাশি, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করতে পারে। একই সঙ্গে আগামীতে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান চাইতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসন প্রথম পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্র্রেলিয়ার সমন্বয়ে অর্থনৈতিক বলয়ের যাত্রা শুরু করতে চাইছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশকে ফ্রেমওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছে। এখনও চলছে ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের কাজ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় এমন উদ্যোগ বলে অনেকের ধারণা।

চীনের সামরিক প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আগেই কোয়াড নামের জোট করা হয়েছে।  কোয়াডে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অনেক দেশই এমন সামরিক জোটে যেতে চাইছে না।

চীন কোয়াডে যোগদানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে কিছুই বলেনি।

সূত্র মতে, এই অর্থনৈতিক বলয়ের ব্যাপারে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের কাঠামো ঘোষণার পর চীন প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে, ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক হবে এশীয় অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অংশীদারি সংলাপে ইন্দো-প্যাসিফিক ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে কিছুটা আলোকপাত হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আবারও প্রসঙ্গটি তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরফে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের আসন্ন অর্থনৈতিক সংলাপে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। জুনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পরপরই ৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *