মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্য আটক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা পুলিশ নীলফামারী, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের ৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দু’টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের গত ১৭ আগস্ট সকালে মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের মুল হোতা পাটগ্রাম উপজেলার পশ্চিম জগতবেড় গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে মোনারুল ইসলাম দিনাজপুর যাওয়ার কথা বলে পাটগ্রাম উপজেলার স্টেশন মোড় থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া চালক ইমরান মিয়া ও তার মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দেন। পথিমধ্যে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার বালাগ্রাম বাজার থেকে কৌশলে বাজাজ প্লাটিনা মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায় মোনারুল।
জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম মোটরসাইকেলটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ইমরান। ইমরানের এক চোখ নষ্ট এবং সে এক প্রতিবন্ধী সন্তানের বাবা। এ ঘটনায় ইমরান মিয়া বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোরাচালান রোধে এসআই মিন্টু চন্দ্র রায়সহ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চক্রের মূল সদস্যকে চিহিৃত করেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চোরাচালান চক্রের অন্যতম সহযোগী পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ভান্ডারদহ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মোস্তাকিন ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করে। এ খবর পেয়ে হোতা মোনারুল ঢাকায় পালিয়ে যায়। আটক আসামী মোস্তাকিনের স্বীকরোক্তি অনুযায়ী ওই গ্রুপের একই কায়দায় কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানা এলাকা হতে চুরি যাওয়া আরও একটি বাজাজ প্লাটিনা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী জলঢাকা থানার বালাগ্রাম এলাকার ওয়াহেদ আলী ওরফে তাহেদ আলীর ছেলে হানিফ ইসলামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। হানিফ আলীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোনারুলকে কৌশলে ঢাকা থেকে নীলফামারী জেলার জলঢাকায় ডেকে এনে সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তার করে মোনারুলকে নিয়ে দিনাজপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে চক্রের অপর সদস্য কোতয়ালী থানার গোলাপবাগ এলাকার মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে আফিরুল ইসলাম সাগরকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
আফিরুলের দেয়া তথ্যানুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আব্দুল জলিলের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৩) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে ইউনুসসহ (২৫) চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
এ সময় পাটগ্রাম থেকে হাতিয়ে নেওয়া বাজাজ প্লাটিনা মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়। পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, পূর্বে গ্রেপ্তার মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলায় নতুন গ্রেপ্তার চার আসামী থানা হাজতে রয়েছে আগামীকাল বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।