মেয়ে হয়েও ছেলে সেজে সমকামীতা করতে না পেরে হত্যা !
ছেলে সেজে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সমকামিতায় বাধ্য করা ও মৌ নামে এক স্কুল ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে টিকটকার রুপাকে গ্রেফতার করেছে নাটোর পুলিশ।
সোমবার সকালে নাটোর শহরের উপরবাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাটোর থানায় দায়েরকৃত মামলা ও মৃত সাদিয়ার বাবা আব্দুল কুদ্দুস জানান, নাটোর শহরের উপরবাজার এলাকার রুবেল হোসেনের মেয়ে রুপা বন্ধুদের বাইক আর ক্যামেরা ধার নিয়ে টিকটক ভিডিও নির্মাণ করে নিজেকে রুপস ভাই বলে পরিচয় দিত।
এছাড়াও নিজেকে নাটোরের টিকটক অপু ভাই বলে জাহির করা ব্যক্তিটি আসলে একজন নারী। ২০ বছর বয়সী রুপস বন্ধুদের সঙ্গে মিশে প্রথমে ইয়াবা, গাঁজা সেবন করা শুরু করে। এক পর্যায়ে সমকামিতায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
আব্দুল কুদ্দুস জানান, ৫ মাস আগে তার ছেলে সনির সঙ্গে রুপার বোনের বিয়ে দেওয়া হয়। সম্পর্কে বিয়াইন হওয়ার সুযোগে রুপা তার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কিশোরী সাদিয়াকে সমকামিতার সম্পর্কে প্রলুব্ধ করে। এক সপ্তাহ আগে সাদিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা জানতে পারে রুপা তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। পরে সাদিয়ার পরিবার বিষয়টি নিয়ে রুপার নামে সদর থানায় জিডি করে। সাদিয়ার সন্ধান পেয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
এরপর গত ১৬ আগস্ট শনিবার রাত তিনটায় বাসা থেকে পালিয়ে যায় সাদিয়া। ১৭ আগস্ট রুপার বাবা রুবেল সাদিয়ার মাকে ফোন করে জানান আপনার মেয়েকে পাওয়া গেছে। আমার বাসায় এসে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিক সাদিয়ার মা এবং তিন চাচী রুপাদের বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান রুপার বাবা, মা, দাদি লোহার রড এবং পাইপ দিয়ে সাদিয়াকে পেটাচ্ছে। তারা মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাদের বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়নি।
সাদিয়ার বাবা অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে নাটোর থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। মামলা গ্রহণ ও মেয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে নাটোর থানা পুলিশ একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় সাদিয়ার বাবা হত্যার অভিযোগ এনে সুফিয়া বেগম রুপাসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রুপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রতিবেদককে জানান, রুপাকে গ্রেফতারের পরই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।