মৃত্যুর জন্য ৩ জনকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট; অত:পর মৃত্যু !
মৃত্যুর আগে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমিনের দেওয়া রহস্যময় একটি ফেসবুক পোস্ট তোলপাড় করে দেয় ভার্চুয়াল জগত। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা গুঞ্জণ চলছে ফেঞ্চুগঞ্জে।
পোস্টে উল্লেখ করা তিনজন ব্যক্তি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হলেও তার পারিবারিক নিরবতার কারণে রহস্যভেদ আটকে যায়। সে সুযোগে সন্দেহের জাল বড় হয, বাড়তে থাকে জটিলতাও।
সেলিনা ইয়াসমিন গত ৫ ডিসেম্বর তার ফেসবুক একাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে লিখেন- তার শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ক্ষতি হলে তিনজন মানুষ দায়ী থাকবেন। সেই তিনজনের নাম ও প্রমাণ তার মেয়ে সেজুতির কাছে আছে। এরপরে ২৫ ডিসেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আলোচনায় চলে আসে সেই রহস্যময় পোস্ট ও তার মেয়ে সেজুতি। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেজুতি এ ব্যাপারে নীরবতা পালন করে ঢাকায় ফিরে যান।
জানা যায়, এ ব্যাপারে কোনও মামলা বা সাধারণ ডায়েরিও দায়ের করা হয়নি। এদিকে, মৃত্যু বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়- স্ট্রোক নয় ‘সেফটিক শকে’ (আভ্যন্তরীণ বিষক্রিয়ায়) মারা যান সেলিনা ইয়াসমিন।
একটি সূত্র জানায়, গত আগস্ট মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সেলিনা ইয়াসমিন। সে খরব গোপন রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে- করোনার কারণে তার রক্তে ইনফেকশন ছড়িয়ে যায়। ডেট সার্টিফিকেটের সূত্রে সেলিনা ইয়াসমিনের আপন চাচাতো বড় ভাই ফখরুল ইসলাম লিটন বলেন, সেলিনা সেফটিক শকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউএইচও ডা. কামরুজ্জামান বলেন, সেফটিক শক হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বিষক্রিয়া। যেটা শরীরের ভিতরের ইনফেকশন রক্তে মিশে পুরো শরীর ছড়িয়ে যায়।