মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবনতি: আরএসএফ
গত বছরের তুলনায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ এক ধাপ পিছিয়েছে । সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। সূচকে সবার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম এবং ২০১৯ সালে ছিল ১৫০তম।
অর্থাৎ গতবারের সূচকেও বাংলাদেশের এক ধাপ অবনতি হয়েছিল। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২১ সালে এ সূচক মঙ্গলবার প্রকাশ করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, এর ভিত্তিতে ২০০২ সাল থেকে আরএসএফ এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে এই সূচকে বাংলাদেশ আছে।
সূচকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরএসএফের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংকট এবং লকডাউন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ ও বেসামরিক সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। মহামারি ও সমাজে তার প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য অনেক সাংবাদিক, ব্লগার, কার্টুনিস্ট গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
আরএসএফ বলছে, বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে সরকারের কাছে এখন একটি বিচারিক অস্ত্র আছে। তা হলো ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনে ‘নেতিবাচক প্রচারণা’র দায়ে সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড। ফলে আত্মনিয়ন্ত্রণ (সেলফ-সেন্সর) অভূত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্পাদকরা সংগত কারণেই জেল বা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঝুঁকি এড়াতে চান।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সর্বশেষ ২০১৯ সালে পুনর্র্নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে লক্ষণীয় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। তাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।