fbpx
হোম রাজনীতি মির্জা ফখরুল অভিমানেই আইসোলেশনে গেছেন…
মির্জা ফখরুল অভিমানেই আইসোলেশনে গেছেন…

মির্জা ফখরুল অভিমানেই আইসোলেশনে গেছেন…

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের শীর্ষ দুই নেতৃত্বের দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত ও মহাসচিবের পদ পরিবর্তনের গুঞ্জনের কারণে অভিমান করেই আইসোলেশন আছেন। সম্প্রতি তার ঘনিষ্ঠস্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

তারা জানান, দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের ব্যর্থতা ও দলের দুরবস্থার কারণ হিসেবে মহাসচিবকে দায়ী করায় তিনি (মির্জা ফখরুল) নিজে থেকেই বিএনপির রাজনীতি থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। দল থেকে অবমূল্যায়ন ও অবহেলার কারণেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরিচয় গোপন করার শর্তে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা জানান, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবি, ২০ দলকে পাশ কাটিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনসহ বেশ কিছু ইস্যুতে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে না পারায় দলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিদ্ধান্ত না নিতে পারায় দলের সব ব্যর্থতা তার উপরই বর্তায়। তিনি কোনোভাবেই সবকিছুর দায় এড়াতে পারেন না। তাই দলের মধ্যে মহাসচিব পরিবর্তনের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনেক আগেই বিএনপির মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত ছিল। কেননা বিএনপির মধ্যে এখন শৃঙ্খলা এবং চেইন অফ কমান্ড কোনোটিই নেই। কেউ তাকে মহাসচিব বলে মানেনও না। দলে তার সিদ্ধান্তের কোনো মূল্য নেই। শুধুমাত্র খালেদা ও তারেক রহমানের আদেশ পালনে বাধ্য তিনি। যে কারণেই তিনি একজন পুতুল মহাসচিবে পরিণত হয়েছেন।

উল্লেখ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার বাসায় থাকা তার শ্যালক কাজী একরামুল রশীদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মির্জা ফখরুল। গত বুধবার থেকে উত্তরার বাসায় স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার সকালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি দুঃখিত যে, আপনাদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি। কারণ আমার বাসায় করোনাভাইরাসে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ১৪ দিন আমাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *