fbpx
হোম ক্রীড়া মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

0

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৯৪। ৫৪ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ, ১৩ রানে খেলছেন তাসকিন আহমেদ।হারারের উইকেটে বাউন্স ছিল বেশ। শুরু থেকে সুইং পেয়েছেন পেসাররা। অনিয়মিত স্পিনারদের কিছু বল হুট করে নিচুও হয়েছে। প্রথম দিনের খেলা শেষে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান প্রিন্স জানালেন, এই পিচে প্রথম ইনিংসে যত বেশি সম্ভব রান চান তারা।“১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে যতটা সঙ্গ দেবে বাংলাদেশের জন্য ততটাই ভালো হবে। দুই দল ব্যাটিং করার আগে কোনো পিচে কত রান ভালো, সেটা কেউ জানে না। তাই ২৯০ থেকে ৩২০ রানকে আমরা ভালো সংগ্রহ হিসেবে ধরে নিতে পারি না। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, যত বেশি সম্ভব রান করা।”

অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৭০ রানের পরও ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে তিনশ রানের কাছে নিয়ে যাওয়া লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা করেছেন ব্যাটিং পরামর্শক।শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছিলেন লিটন। আগের সেরা ৯৪ ছাড়িয়ে আশা জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির। কিন্তু আবারও গড়বড় করে ফেলেন তিনি; ফাঁদে পা দিয়ে থামেন ৯৫ রানে। প্রিন্স জানালেন, তরুণ এই কিপার-ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি না পাওয়ায় দলের সবাই হতাশ।

“দলের সঙ্গে আমি কেবল এক সপ্তাহ ধরে আছি। এই দলে মান সম্পন্ন অনেক খেলোয়াড় আছে, লিটন তাদের একজন। এই সময়ে ওর সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়েছে। সে আমাকে বলেছে, মাঝে মধ্যেই ৩০, ৪০ রানে গিয়ে মনসংযোগ হারিয়ে উইকেট হারিয়েছে সে। আমি তাকে বলেছি, ৩০ বা ৪০ রানের কথা ভুলে তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারলে তার রান সেঞ্চুরির কাছে চলে যাবে। আজ সে সেঞ্চুরি না পাওয়ায় আমরা সবাই হতাশ। আশা করি, এটা তার জন্য ভালো একটি শিক্ষা হয়ে থাকবে।”সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটিতে লিটনের সঙ্গে ত্রাতা মাহমুদউল্লাহ। প্রায় দেড় বছর পর যিনি এই টেস্ট খেলতে নামেন দলের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে। নিজের ৫০তম টেস্টে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে। প্রিন্স মনে করেন, অমন বিপদ থেকে দলকে টেনে তুলতে মাহমুদউল্লাহই ছিলেন সবচেয়ে আদর্শ ব্যাটসম্যান।“মাহমুদউল্লাহ দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেছে। ওই সময়ে সে-ই ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। সে ও লিটন একে অন্যকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছে। মাহমুদউল্লাহ ছিল সাবধানী, লিটন দলকে এগিয়ে নিয়েছে। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ওদের জুটিটা দলের জন্য অনেক বড় কিছু ছিল।”

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *