ভোট সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই: তৈমুর আলম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিকে দেশ ও বিদেশের সব মিডিয়া তাকিয়ে আছে। মিডিয়ার কল্যাণে এসব কথাবার্তা শুধু নারায়ণগঞ্জের মানুষ শোনে না, বিশ্বব্যাপী মানুষ শোনে। বাইরে কোথাও গেলেই নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে অনেক কথা উঠে যায়। আমার মনে হচ্ছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় যে হেফাজতের লোকেরা প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জননী উপাধি দিয়েছিল, সেই হেফাজতের সঙ্গে গোলযোগের মামলায় আমার জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মনিরুল ইসলাম রবি আমার সিদ্ধিরগঞ্জের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। ২৪ ঘণ্টায় আমার প্রায় ১৭ জন নেতাকর্মীকে কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটাকে ভোটের আগেই নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে নগরের মিশনপাড়া এলাকায় প্রধান নির্বাচনি কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া এই নেতা।
তিনি বলেন, কাল এসপি অফিসে গিয়েছিলাম, তাকে পাইনি। আজ গিয়ে বলব, আমার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আপনার (এসপি) অফিসের সামনে বসে পড়ব। এখান থেকেই আমি আমার নির্বাচন পরিচালনা করব। গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে তৈমুর বলেন, আমি শঙ্কিত হব না কেন। নেতাকর্মীদের বাড়িতে যখন পুলিশ হামলা করে, এজেন্টকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায় হেফাজতের মামলায়, তখন তো শঙ্কা সৃষ্টি হবেই। সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলমের ‘উকিল মেয়ে’ রেশমী অভিযোগ করে বলেন, তৈমুর আলমের হাতি প্রতীকে কাজ করায় সোমবার গভীর রাতে ২২নং ওয়ার্ড থেকে আমার স্বামী আশরাফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।