ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে প্রশংসা
বাংলাদেশের এ উন্নয়ন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। বিশেষ করে কলকাতার গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে প্রতিবেশী দেশের উন্নয়নের চিত্র। উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি কলকাতার বেসরকারি টেলিভিশন ‘কলকাতা টিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচক থেকে নারী-পুরুষ সমতায় ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ভারতে শিশু মৃত্যু হার ১ হাজারে ৮৮ জন। বাংলাদেশ এ হার ৮৪ জন।
বলা হয়, স্বাস্থ্য সচেতনতায় বাংলাদেশ এগিয়ে। শ্রমের জোগানে বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। চা, বাগান, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে নারীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ভারতে বেকারত্বের হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশে এ হার ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। গেল কয়েক বছরে শুধু মাথা পিছু আয়ে নয়; অনেক ক্ষেত্রে ভারতকে বাংলাদেশ ছাপিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ইসলামি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়ছে। মুজিব হত্যাকারীদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ভারতের সন্ত্রাসীদের দেশটির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। যে কোনো ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সুম্পর্ক রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর মোদি-আমিত শাহ ভাইদের মনে হয়েছে, বাংলাদেশিরা না খেতে পেয়ে ভারতে উইপোকার মতো ছড়িয়ে পড়ছে।
সেই একাত্তর থেকে অবাঙালি ভারতীয়দের এক বড় অংশের ধারণা বাংলাদেশ তাদের করদ রাজ্য। আমরা তাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছি। বাংলাদেশিদের প্রতি তাদের ধারণা, অত্যন্ত গরিব, ওই দেশে কিছুই হয় না, কেবল বাচ্চা পয়দা হয়, আর ওরা মুসলমান।
কিন্তু সেদেশটিই নোবেল এনেছে, শিল্প তৈরি করছে, ক্রিকেট টিম তৈরি করছে। কৃষিখাতেও বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করা হয় ওই অনুষ্ঠানে। মাছ উৎপাদনে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সামনে আরো অনেক কাজ বাকি উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত পিছিয়ে যাচ্ছে সবদিক থেকে। মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা চুপ করে কাজ করে চলেছেন।