ভাতা বিতর্কে ইউএনওকে পেটানোর হুমকি চেয়ারম্যান’র !
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় পৃথক দুইটি ডায়রি নথিভুক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। আদিতমারী থানায় ডায়রিটি করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।
এছাড়াও উপজেলা পরিষদের সরকারি নথিপত্র হারিয়ে যাওয়া এবং রাজস্ব তহবিলের ১৯টি চেক বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে আরও একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
জিডিতে বলা হয়েছে, আদিতমারী উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজের অংশ দাবি করেন। এতে বিধি মোতাবেক তালিকা প্রস্তুত করার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বলা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সভা অসমাপ্ত রেখে বের হয়ে চলে আসেন।
সভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী হুমায়ুনকে ইউএনও অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার বিদ্যুৎ সংযোগ খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। সিসিটিভি ক্যামেরার বিদ্যুৎ সংযোগ খোলার কারণ জানতে চাইলে ইউএনও মনসুর উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
অন্যদিকে আদিতমারী থানায় আরও একটি ডায়রি করেন উপজেলা পরিষদের মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর হাবিবুর রহমান।
ডায়রিতে বলা হয়, গত ১২ নভেম্বর অফিস শেষে বাড়িতে চলে যান তিনি। গত ১৫ নভেম্বর অফিসে এসে ভেতরের পকেট গেট খোলা দেখতে পেয়ে অফিসের চার সহকর্মীকে নিয়ে গচ্ছিত কাগজপত্র যাচাই করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভার নথি, উপস্থিত হাজিরা, কর্মচারীদের হাজিরা খাতা এবং উপজেলা পরিষদের বেশ কিছু সরকারি নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম দুইটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার কথা স্বীকার করে বলেন, দুইটি জিডি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস বলেন, আমাকে ফাঁসাতেই নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সে কারণেই জিডি করা হয়েছে। চেকগুলোতে তার (চেয়ারম্যান) কোনো স্বাক্ষর ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলার ১৭ কর্মকর্তার দেয়া অভিযোগের তদন্ত রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে।