fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা বেরিয়ে এলো ফাহিম হত্যার রহস্যময় তথ্য !
বেরিয়ে এলো ফাহিম হত্যার রহস্যময় তথ্য !

বেরিয়ে এলো ফাহিম হত্যার রহস্যময় তথ্য !

0

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক ফাহিম সালেহ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন মেধাবি উদ্যোক্তা, পরিশ্রমী এবং স্বপ্নবাজ এই বিশেষজ্ঞ।

এবার বেরিয়ে এলো তাকে হত্যার পেছনের রহস্য। তাকে খুন করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস ডেভন হাসপিল।

শুক্রবার নিউ ইয়র্ক পুলিশের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, টাইরিস ডেভন হাসপিল ফাহিমের ১০ হাজার ডলার চুরি করেছিল। বিষয়টি ধরে ফেলেছিলেন ফাহিম। তবে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানাননি। বরং যে পরিমাণ অর্থ টাইরিস চুরি করেছিল তা ফেরত দিতে বলেছিলেন ফাহিম। এ জন্য তাকে একটি উপায়ও বাতলে দিয়েছিলেন।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফাহিম সালেহ সোমবার হত্যার শিকার হন। পুলিশ তার মৃতদেহ পাওয়ার একদিন আগে হত্যাকারী প্রমাণ মুছে ফেলতে কিছু সরঞ্জাম ও স্যানিটাইজার অনলাইনে কিনতে ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছিলেন। পরের দিন মৃতদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করতে এবং প্রমাণ মুছে ফেলতে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যায় হত্যাকারী টাইরিস।

লিফটের মধ্যে থাকা সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা গেছে, অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে ফাহিমের সঙ্গেই প্রবেশ করেছিল সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরিহিত হত্যাকারী। লিফটে সে ফাহিমের সঙ্গে কিছু কথাবার্তাও বলেছিল। তবে এর অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। লিফট থেকে বের হওয়ার পর ফাহিমের পেছনে আসা হত্যাকারী তার হাত উঁচু করে। এরপরই ফাহিম মেঝেতে পড়ে যান।

পুলিশের ধারণা, হত্যাকারী ট্যাজার গান দিয়ে বৈদ্যুতিক শক ছুড়ে মারায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ফাহিম। লিফটের দরজা এরপর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরের ঘটনাগুলোর ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। পরে তাকে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অনুমান পুলিশের।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, গলা ও কাঁধে একাধিক ছুরিকাঘাতে নিহত হন ফাহিম।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতদেহের রক্ত জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল হত্যাকারী। পরে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মৃতদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে সে। শরীরের বিভিন্ন অংশ ভারী প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরার সময় লবি থেকে বা বাইরে থেকে কেউ ফাহিমের খোঁজ করতে আসেন। এ সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকারী তার কাজ শেষ করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পুরোপুরি মুছে ফেলতে গিয়েও ব্যর্থ হয় সে।

লিফটের মধ্যে থাকা সিকিউরিটি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, হত্যাকারী তার উপিস্থিতির প্রমাণ মুছে ফেলতে ব্যাটারি চালিত পোর্টেবল ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করেছে।

সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এরই মধ্যে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস ডেভন হাসপিলকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে পুলিশ। ২১ বছর বয়সী টাইরিস ডেভনের বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার চার্জ (ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা) অভিযোগ আনা হয়েছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
51

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *