বেরিয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না’র কাব্য ‘সুদূর পথের বাঁক পেরিয়ে’
সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না’র কবি হিসেবেও সুপরিচিত। তাঁর “সুদূর পথের বাঁক পেরিয়ে” নামে ৪র্থ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২০’র দোয়েল প্রকাশনীর ২১৫-২১৬ নম্বর স্টলে। এছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনের ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্টলে।
“সুদূর পথের বাঁক পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থটির নামকরণের কবিতাতে রয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আবেগঘন অনুভূতি। এছাড়াও গ্রন্থটিতে পাওয়া যাবে জাতির জনককে নিয়ে একাধিক কবিতা। রয়েছে প্রেম ও দ্রোহের কবিতা। কবি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নার “সুদূর পথের বাঁক পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থের সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন দোয়েল প্রকাশনীর প্রকাশক তাপস কর্মকার। তিনি বলেন,“সুদূর পথের বাঁক পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থটিতে অসাধারণ কিছু কবিতা রয়েছে। যা পাঠককে কখনো অশ্রুসিক্ত,কখনো আবেগঘন আবার কখনো অমলিন স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
কবি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন চরপাড়াতলা গ্রামে ১৯৮৩ সালের ১০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তাঁর লেখা আরো ৩টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ২০১৬ সালের একুশে বই মেলায় সাত নারী কবির লেখা ‘সপ্ত শৈলী’ নামে আরো একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবিতা ছাড়াও তিনি লিখেন ছড়া, ছোট গল্প ও প্রবন্ধ। এরই মধ্যে তার ২টি ছড়ার বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি ও সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না ১৯৯৯ সালে এসএসসি, ২০০২ সালে এইচএসসি, ২০০২-২০০৩ শিক্ষাবর্ষে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স ও ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে হিসাব বিজ্ঞানে এমবিএস (মাস্টার্স) পাস করেন।
এছাড়াও তিনি রূপনগর ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করেন। এর আগে ২০০৬ সালে ‘আমার দু’ চোখে স্বাধীনতার স্বপ্ন’, ২০১২ সালে ‘আকাশ সমুদ্রের ঢেউ’ ও ২০১৬ সালে ‘বিবর্ণ সময়’ নামে ৩টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়। পেশাগত জীবনে তিনি একজন সাংবাদিক।