বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনেই গার্মেন্টস কারখানা চালুর সম্ভাবনা
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস. এম. তরিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ‘বিজেএমইএ‘র সভাপতি রুবানা হক ২৫ এপ্রিলের পর চিঠি দিয়ে কিছু কারখানা খোলার কথা জানিয়েছেন এবং শ্রমিক পরিবহনে বাস চেয়েছেন’ জানালে এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
গার্মেন্টস কারখানা যদি খুলতে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনেই খুলতে হবে। আমরা পিপিই ও মাস্ক বানানোর জন্য কিছু কারখানা খোলা রাখতে পারি, তবে তা ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা মোতাবেক। এর আগে গার্মেন্টস খোলা রাখার জন্য, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সে অবস্থা যেন না হয়।
সোমবার (২০ এপ্রিল) গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
কারখানা খোলা রাখতে হলে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা গার্মেন্টস মালিকদের করতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
কনফারেন্সে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জেলাটা ভালো ছিল। অনেক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু গার্মেন্টস কারখানার সমন্বয়ের অভাবে আমাদের গাজীপুর জেলা আজ করোনা আক্রান্ত। যখন গার্মেন্টস খুলে দিলো এবং সর্বত্র থেকে শ্রমিক আসতে শুরু করল এবং নারায়নগঞ্জের বর্ডার কালিগঞ্জ এবং কাপাসিয়া ওই দিকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলো। ওই এলাকাতেই প্রথম একজন শনাক্ত করি। গাজীপুরে লকডাউন কার্যকর করার প্রধান সমস্যা এখন গার্মেন্টস কারখানা। এখানে অনেক মালিক বেতন-ভাতা দেওয়ার কথা বলে দিচ্ছেন না। আবার অনেকেই পিপিই ও মাস্ক বানানোর নামে কারখানা খুলে অন্য কাজ করাচ্ছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। আমি পরবর্তীতে গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে বসব। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ আসে, দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। ভেঙে পড়লে হবে না। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি, এখন জনগণের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশিকা মেনে আপনারা ঘরে থাকুন।