fbpx
হোম জাতীয় ‘বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী’
‘বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী’

‘বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী’

0

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব জুড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। গত সোমবার ইউনেস্কোর সদর দপ্তর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত পাশ হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের সঙ্গে ইউনেস্কো যুক্ত হওয়ায় মুজিববর্ষ উদ্যাপনকালে দেশ জুড়ে নানা কর্মসূচি পালনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন আরো ব্যাপক পরিসরে অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টি হলো।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করবে। গণভবনে প্রস্তুতি কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে গঠিত জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, গত সোমবার প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সংস্থাটির ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বিশ্বের ১৯৫টি দেশে উদ্যাপন হবে।

ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের সভাপতি আলতে সেনজাইজারের সভাপতিত্বে এবং ইউনেস্কো মহাপরিচালক মিজ অদ্রে আজুলে, বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিভিন্ন কমিটি ও কমিশনের চেয়ারপারসনদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত পাশ হয়।

জানা যায়, ইউনেস্কো শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। ৫০ বছর বা এর গুণিতক যে কোনো বার্ষিকী যদি ইউনেস্কোর কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়, তাহলে ঐ দিবস যৌথভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই হিসেবে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষের বিশ্বস্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এর ফলে ইউনেস্কো বা এর ১৯৫ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ বা দ্বিপাক্ষিকভাবে এই দিবসটি পালন করতে পারবে বাংলাদেশ।

গতকালের সভায় আরো জানানো হয়, বছরব্যাপী অনুষ্ঠেয় ‘মুজিব বর্ষ’র জাতীয় অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন হবে আগামী ১৭ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে।

সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হতে হবে। বঙ্গবন্ধু এই মাটির সন্তান, কাজেই এ অনুষ্ঠান কোনো রংচটা অনুষ্ঠানে রূপ নিতে পারবে না।

জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ড. গওহর রিজভী, ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এবং সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের ১০০ দিনের কাউন্ট ডাউন শুরু হবে বলেও সভায় জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাউন্ট ডাউনের উদ্বোধন করবেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *