fbpx
হোম জাতীয় বিদ্যুৎ—সংকট নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে
বিদ্যুৎ—সংকট নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে

বিদ্যুৎ—সংকট নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে

0

লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনায় সারা দেশ। তীব্র গরমে দিন ও রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জনজীবন বিপন্ন। সারা দেশেই এই বিদ্যুৎ সংকট চলছে। কোথাও কোথাও দিন ও রাত মিলিয়ে ১১-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ খাতের চলমান সংকট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সভা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শুরু হওয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন।

সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া সভায় বিদ্যুৎসংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সভায় গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত রয়েছেন।

এদিকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আবারও মিতব্যায়ী হতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে গ্যাসের যে দাম বেড়েছে তা সরকারের পক্ষে কেনা সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার সকালে এক অডিও বার্তায় এ অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি গত ছয়-সাত মাস আগে থেকেই তেলের মূল্য বেশি প্রচন্ডভাবে। যে তেল আমরা ৭০ থেকে ৭৫ ডলারে কিনতাম, সে তেল এখন ১৭১ ডলারে ঠেকেছে এবং এখনো বেড়েই চলছে। আমরা বলে আসছি যে, তেলের দাম সমন্বয়ে যাব। এতদিন যাইনি কিন্তু নিজস্ব অর্থে ভর্তুকি দিয়ে আসছি, এখন সমন্বয় করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারাবিশ্বে তেলের উর্ধ্বগতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতেও তেলের দাম বাড়িয়েছে। তারা প্রায় ৩৫ থেকে ৫০ টাকা লিটার প্রতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়িয়েছে। আমাদের গ্যাস দিয়ে ৬৪ শতাংশ বিদ্যুৎ চলে। আমাদের যে নিজস্ব গ্যাস দিন দিন বাড়াচ্ছি আবার কমছেও। যে খনিগুলোর কাছ থেকে পাচ্ছি তা খুব অল্প পরিমাণে। আমাদের গ্যাসের ঘাটতি ছিল, সেটা আমদানি করে পূরণ করতাম। এক্ষেত্রে দুই ধরনের দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি এবং স্বল্প মেয়াদি খোলা বাজার থেকে গ্যাস ক্রয় করা হয়। এখানে চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এর দাম অনেক বেড়েছে। চার ডলারের গ্যাস এখন ৩০ ডলারে পৌঁছে গেছে। যা কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অর্থের যোগান দিতে আমাদের প্রচণ্ডভাবে বেগ পেতে হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষে ভর্তুকি দিয়ে এই পরিমাণ যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এখন যদি দাম বাড়িয়ে দেই তাহলে জনগণের ওপরে চাপ পড়বে। আমি আগে থেকে বলেছি- সরকার এমন কিছু করবে না, যা জনগণের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে গ্যাসে দাম সামান্য পরিমাণে সমন্বয় করা হয়েছে। তেলের ক্ষেত্রে তা এখনো করিনি।’

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *