বিচারপতিকে বাংলায় রায় লিখতে ও প্রকাশের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই নয়, সেই সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাতেও অঙ্গীকারবদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার। বিচার পাওয়ার অধিকার সব মানুষের আছে আর সেটিই নিশ্চিত করতে চায় সরকার। অথচ ’৮১ সালে দেশের ফেরার পর আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিলো না। বিচার পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর বিচারের (বঙ্গবন্ধু হত্যার) উদ্যোগ নিলাম। কিন্তু সেখানেও বাধা আসলো। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার জন্য সংসদে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তাতে বাধা দেওয়া হলো। বিষয়টা হাইকোর্টে নেওয়া হল। অবশেষে বিচার কাজ শেষ হল, রায় প্রকাশের দিন বিএনপি হরতাল ডাকল যাতে বিচারক কোর্টে যেতে না পারেন। কোর্টে যেতে বাধাও দেওয়া হল।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পড়ে থাকা মামলার জট দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিচারকদের আরো আন্তরিক হবার আহ্বান জানান। আদালতে মামলাজট কমানো, সেই সাথে বিচার প্রার্থীদের সুবিধার জন্য দেশের ৬৪ জেলায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।