বাংলাদেশে করোনায় কোথায় কতজন আক্রান্ত
করোনা ভাইরাস এখন বিস্তার লাভ করছে বাংলাদেশেও। এখন পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৪ জন।
রাজধানী ঢাকায় গত ৯ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৬২ জন। ১০ এপ্রিল ৩৭ জন। তবে ঢাকায় পরের দিন একটু কমলেও নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে ৩ জন। নারায়ণগঞ্জে ৯ এপ্রিল ১৩ জন আক্রান্ত সনাক্ত হয়, ১০ এপ্রিল সনাক্ত হয় বেড়ে গিয়ে ১৬ জন। আর শুধু রাজধানীতেই ২৩৩ জন করোনার রোগী সনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা সিটিতে ১৯৬, ঢাকা জেলায় ১৩ জন, গাজীপুরে দুই জন, জামালপুরে তিন জন, কিশোরগঞ্জে এক জন, মাদারীপুরে ১১ জন, মানিকগঞ্জে তিন জন, নারায়ণগঞ্জ ৫৯ জন, নরসিংদী চার জন, রাজবাড়ী এক জন, টাঙ্গাইলে দুই জন, শরীয়তপুর এক জন এবং শেরপুরে দুই জন। ঢাকা বিভাগে মোট ২৯৮ জন করোনা আক্রান্তের তথ্য মিলেছে। ১০ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৭ জন। এর মধ্যে যাত্রাবাড়িতেই পাওয়া গেছে ৫ জন।
৯ এপ্রিলের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ১৪ জন। এরমধ্যে চট্টগ্রামে নয় জন, কক্সবাজারে এক জন, কুমিল্লায় চার জন। সিলেট বিভাগে দুই জন। এক জন মৌলভীবাজারে আর এক জন সিলেটে। রংপুর বিভাগে ১১ জন। এরমধ্যে রংপুরে দুই জন, গাইবান্ধায় আট জন, নীলফামারীর এক জন। খুলনা বিভাগে একজন চুয়াডাঙ্গায়। ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন ।
এদিকে ঢাকার আগারগাঁওয়ে দুই জন, আদাবরে এক জন, মোহাম্মদপুরে আট জন, ধানমন্ডিতে ১৩ জন, বসিলায় এক জন, জিগাতলায় তিন জন, সেন্ট্রাল রোডে এক জন, গ্রিনরোডে তিন জন, শাহবাগে দুই জন, হাতিরপুলে দুই জন, বুয়েট এলাকায় এক জন, আজিমপুরে চার জন, হাজারীবাগে তিন জন, উর্দু রোডে এক জন, চকবাজারে তিন জন, লালবাগে আট জন, বাবুবাজারে তিন জন, ইসলামপুরে দুই জন, লক্ষীবাজারে দুই জন, নারিন্দায় এক জন, দয়াগঞ্জে এক জন, সোয়ারীঘাটে তিন জন, ওয়ারীতে ১০ জন, ধোলাইখালে এক জন, বংশালে চার জন, যাত্রাবাড়ীতে ছয় জন, শনির আখড়ায় এক জন, মুগদায় এক জন, পুরানা পল্টনে দুই জন, ইস্কাটনে এক জন, রাজারবাগে এক জন, বেইলি রোডে তিন জন, মগবাজারে দুই জন, শান্তিনগরে দুই জন, বাসাবোতে এক জন; রামপুরায় এক জন, হাতিরঝিলে এক জন, শাহজাহানপুরে এক জন, বাড্ডায় দুই জন, বসুন্ধরায় তিন জন, নিকুঞ্জে এক জন, মানিকদীতে এক জন, আশকোনায় এক জন, উত্তরায় ১৬ জন, বেড়িবাঁধে এক জন, গুলশানে ছয় জন, বনানীতে এক জন, মহাখালীতে দুই জন, বেগুনবাড়িতে এক জন, তেজগাঁওয়ে দুই জন; কাজীপাড়ায় এক জন, মিরপুর ১০ নাম্বারে তিন জন, মিরপুর ১১ নাম্বারে ছয় জন, মিরপুর ১২ নাম্বারে দুই জন, মিরপুর ১৩ নাম্বারে এক জন, মিরপুর ১ নাম্বারে ১১ জন, শাহআলীবাগে দুই জন, পীরেরবাগে দুই জন, টোলারবাগে আট জন ও উত্তর টোলারবাগে ছয় জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সোনিয়া তাহমিনা বলেন, এই অসুখটা কোনো ভেদাভেদ মানছে না। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল পেশার মানুষকে এফেক্ট করছে। এ থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হচ্ছে ঘরে থাকা। ঘরের মধ্যেও তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
বয়স ভেদে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- আক্রান্তদের ৪২৪ জনের মধ্যে ১০ বছরের নিচে ১৪ জন, ১০ থেকে ২০ এর মধ্যে ২৯ জন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০ এর পরে আক্রান্তের হার বেশি। ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে ৮৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যে ৯১ জন, ৪১ থেকে ৫০ এর মধ্যে ৮০ জন, ৫১ থেকে ৬০ এর মধ্যে ৬৯ জন, ৬০ এর উপরে ৫৯ জন।
আইইডিসিআর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, নারীদের তুলনায় পুরুষের আক্রান্তের হার দ্বিগুণেরও বেশি। এপর্যন্ত ২৯০ জন পুরুষ ও ১৩৪ জন নারী আক্রান্ত হয়েছেন।