বাংলাদেশের স্মৃতিচিহ্ন সরানোয় সমালোচনার মুখে ত্রিপুরা সরকার
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকার গোল চত্বর থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার।
আগরতলার প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত পোস্ট অফিস চৌমুহনীর গোল চত্বরে রাখা ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত কামান ও ট্যাংক।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হঠাৎ দুটি ক্রেনে করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা দেখতে পান দুটি ক্রেনের সাহায্যে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরাবাসীর আবেগ জড়িত এসব সামগ্রী কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে চান স্থানীয়রা।
পরবর্তী সময়ে পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা. শৈলেশ কুমার যাদব একটি নোটিশ জারি করে জানান, আগরতলা শহরের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অস্ত্রগুলি পোস্ট অফিস থেকে সরানো হয়েছে। এগুলো আগরতলার লিচু বাগান এলাকার মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম শহীদ জওয়ান অ্যালবার্ট এক্কার নামে নির্মিত পার্কে রাখা হয়েছে।
প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র তাপস দে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ অবদান রয়েছে। আগামী প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশের জন্মের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর অবদান জানতে না পারে সে জন্য পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে।