বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো উচিত: ট্রাম্প প্রশাসন
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের দুই বছর পর আবারও দোষীদের শাস্তির দাবি জানালো ট্রাম্প প্রশাসন। শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, তারা দোষীদের বিচারের আওতায় এনে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, এখন সময় এসেছে অন্যান্যদেরও বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মরগান অর্তেগাস বলেন, মিয়ানমারকে শান্তিপূর্ণ ও উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিচার ও দায়বদ্ধতা অপরিহার্য।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি। রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার উদ্দেশ্যে অভিযান চালানো হয়। এখনও রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এই পরিবেশ মিয়ানমারকে সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।