fbpx
হোম অন্যান্য ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’
‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’

‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’

0

উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ এবং গ্রাম থেকে শহরমুখী স্রোত হ্রাস করতে গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের  জন্য ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

দেশের ১০টি গ্রামের মানুষ শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই ১০টির তালিকায় সিলেট বিভাগের একটি গ্রামও রয়েছে।

মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সমবায় অধিদফতর বঙ্গবন্ধুর সমবায় গ্রাম ধারণা ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের বিশেষ অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ ধারণায় গ্রামের বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।

দেশের ১০ জেলার ১০ উপজেলার ১০ গ্রামের গড়ে পাঁচ হাজার জন করে মোট ৫০ হাজার মানুষ প্রকল্পটির উপকারভোগী হবেন। এই ১০টির তালিকায় রয়েছে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রাম।

জানা গেছে,  ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’র কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার, মানবশ্রমকে যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন, উৎপাদন বৃদ্ধি, পোস্ট হারভেস্ট লোকসান কমানো, পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পানির অপচয়রোধ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

এ লক্ষ্যে সরবরাহ করা হবে কৃষি যন্ত্রপাতি। প্রাথমিকভাবে প্রতি গ্রামে ৩০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রতিটি গ্রামের জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা হবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আধুনিক ও মানসম্মত মাছ চাষের শ্রেষ্ঠ অনুশীলনের জন্য গ্রামে দুটি প্রদর্শনী পুকুর তৈরি করা হবে।

সারা বছরের আয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অফফার্ম কার্যক্রম হিসেবে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালনের মাধ্যমে মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক ও মানসম্মত খামার ব্যবস্থাপনার কৌশলের ওপর গ্রামের নারী ও বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

এ লক্ষ্যে গ্রামে প্রদর্শনী খামারে শ্রেষ্ঠ অনুশীলনের জন্য একটি মধ্যম আকৃতির খামার তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবলের চাহিদার আলোকে ব্যক্তিপর্যায়ে চাহিদার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনাসুদে ঋণ দেয়া হবে, ৩ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ সেই ঋণ ফেরত দিতে হবে। ঋণ গ্রহণের তিন মাস পর থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে। এছাড়া কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হবে। ৩ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ ওই ঋণ ফেরত দিতে হবে। এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের ছয় মাস পর থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে।

‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’র সব শ্রেণি-পেশার জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করে গ্রাম সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। সমিতিকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কমিউনিটি ভবন নির্মাণ করা হবে। কমিউনিটি ভবনে বঙ্গবন্ধু পাঠাগার ও বঙ্গবন্ধু কর্নার, কমিউনিটি হল, সমিতির অফিস, সভাকক্ষ, কম্পিউটার কেন্দ্র ও ডিজিটাল সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কেন্দ্র, বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি রাখার গোডাউন, সংরক্ষণাগার, প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *