fbpx
হোম গণমাধ্যম বকেয়া বিল চাওয়ায় সাংবাদিককে ১ ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন সাহেদ…
বকেয়া বিল চাওয়ায় সাংবাদিককে ১ ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন সাহেদ…

বকেয়া বিল চাওয়ায় সাংবাদিককে ১ ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন সাহেদ…

0

চেঞ্জ টিভি’র প্রধান বার্তা সম্পাদক আমিরুল মোমেনীন মানিক সম্প্রতি বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাহেদ করিম সম্পর্কে তাঁর একটি অভিজ্ঞতা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন, সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো ।…

‘‘২০০৭ সালের কথা। তখন ওয়ান ইলেভেনের সময়। আমি বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, সাংবাদিকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে আমি বিজ্ঞাপন ও তথ্যচিত্র নির্মাণ করি। গত ১৫ বছরে আমি প্রায় ১০০টি কর্পোরেট তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছি। এই কাজটি না করলে ঢাকা শহরে আমার টিকে থাকা অনেক কষ্টকর হতো। যাই হোক, সেই সময় একজন গণমাধ্যমকর্মী মারফত জানতে পারি, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন নির্মাণের লোক খুঁজছে। তথ্য পেয়ে আমরা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করি। ৯০ হাজার টাকার চুক্তিতে কাজটা আমাদেরকে দেয় তারা। ১০ হাজার টাকা অগ্রীম পেলাম। তখন নতুন কাজ করছি, এটাকেই সোনায় সোহাগা মনে করলাম।

নির্দিষ্ট সময়ে আমরা বিজ্ঞাপনচিত্র বুঝিয়ে দিলে তারা সন্তুষ্ট হলো । বিডিএস এর কর্তারা জানালেন, পরে এসে বকেয়া বিল নিয়ে যাবেন। এরপর বারবার ধর্না দিতে লাগলাম টাকার জন্য। কিন্তু দেই-দিচ্ছি বলে ৩ মাস চলে গেল। ৬ মাস পেরিয়ে গেলে আমি নিজেই হাজির হলাম ধানমন্ডির বিজিবি সদরদপ্তরের উল্টোদিকে বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে। তারা আমাকে বললো, এখন টাকা পাবেন না। স্যার, পরে আসতে বলেছেন। আমি বললাম, কোন্ স্যার। উত্তর এলো, ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আমি বললাম, দেখা করবো তার সঙ্গে, টাকা না নিয়ে আজ যাবোনা। ভেতর থেকে আমার সব কথা শুনছিলেন এমডি সাহেব। আমার জোরালো কণ্ঠ শুনে, চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে এলেন।

-এই মিয়া, বলছেনা টাকা দেওয়া হবেনা, জোর খাটাচ্ছেন কেন, কিসের টাকা পান আপনি ? আমি ওয়ার্কঅর্ডার দেখিয়ে বললাম, টাকা না নিয়ে যাবেনা আজকে। এমডি সাহেব গলা উঁচিয়ে বললেন, এ্যাই আমাকে চিনস, আমি সাহেদ, আর্মির সাবেক মেজর, হাত-পা ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে দেবো ! আমি বললাম, ভাঙ্গেন, সমস্যা নাই, টাকা না নিয়ে যাবোনা। তখন তার লোকজনকে সে বললো, এ্যাই ওকে তোরা ওই রুমে বসিয়ে রাখ। টাকা যখন চাইছে, তখন টাকা দিয়েই ওরে বিদায় করমু । বিডিএস এর লোকজন আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখলো। আমি বললাম, সমস্যা নাই ।

টাকা না নিয়ে যাবোনা । ঘণ্টা খানেক সময় পার হলো। এরপর আবার আসলো সাহেদ। ১০ হাজার টাকা আমার মুখে ছুঁড়ে মেরে বললেন, এই নেন আপনার টাকা। আমি বললাম, আপনার কাছে পাবো ৮০ হাজার, দিচ্ছেন ১০ হাজার। টাকাটা উল্টো তার মুখে ছুঁড়ে দিয়ে তড়িৎ গতিতে নিচে নেমে গেলাম। পেছন থেকে শুনতে পেলাম, সাহেদ বলছে, এই ধর মানিককে | দু’দিন পরের ঘটনা। পত্রিকা খুলে দেখি, সাহেদের ছবি। বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সাহেদের একপাশে বসে আছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ, অন্যপাশে সংস্কারপন্থী বিএনপি নেতা লে.জে.(অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান। ছবিটা দেখে চুপসে গেলাম। ভাবলাম, সর্বনাশ আগুনে হাত দিয়েছি !’’

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *