ফেসবুকে মহানবিকে কটূক্তি : বিক্ষোভে উত্তাল ব্যাঙ্গালুরু, নিহত ৩
মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্টের জেরে মুসলমানদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত ভারতের ব্যাঙ্গালুরু। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) কংগ্রেসের বিধায়ক অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপোর দেওয়া ওই ফেসবুক পোস্টের প্রতিবাদে ধীরে ধীরে রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান। একপর্যায়ে শুরু হয় সহিংস বিক্ষোভ।
ওই রাতে বিক্ষোভকারীরা অন্তত ২৪টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুড়িয়ে ফেলে থানায় রাখা ২০০টি মোটরসাইকেল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রতিবাদকারীরা বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেজি হাল্লি এবং ডিজি হাল্লি থানায় হামলা চালানো হয়। এতে এক এসিপিসহ অন্তত ৬০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে এনডিটিভি’র সূত্র থেকে জানা যায়।
ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কামাল পান্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া ডিজি হাল্লি ও কেজি হাল্লিতে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরের বাকি অংশে বড় ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) সন্দীপ পাটেল জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়কের অভিযুক্ত ভাইপোকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিন ব্যাঙ্গালুরুর কাভাল বাইসান্দ্রা এলাকায় কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়ির সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে। ছোড়া হয়েছে ইট-পাথরও। এসময় পার্কিংয়ে থাকা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেস নেতার ভাইপো বলেছেন, তিনি ফেসবুকে আপত্তিকর ওই পোস্ট করেননি। তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে অন্য কেউ এই কাজ করেছে। যদিও পরে সেই পোস্টটি ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।
ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কামাল পান্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া ডিজি হাল্লি ও কেজি হাল্লিতে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরের বাকি অংশে বড় ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি