fbpx
হোম বিনোদন প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসন এখনো আয় করেন শত শত কোটি টাকা
প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসন এখনো আয় করেন শত শত কোটি টাকা

প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসন এখনো আয় করেন শত শত কোটি টাকা

0

আজ থেকে ১০ বছর আগেই বিদায় নিয়েছিলেন কিংবদন্তী মাইকেল জ্যাকসন। কিংবদন্তী এই তারকা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও মৃত্যুর ১০ বছর পরেও তার রেখে যাওয়া গান থেকে চলতি বছর আয় বাংলাদেশি হিসেবে প্রায় ৫’শ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কথায় আছে কিংবদন্তীদের মৃত্যু নেই। সারা বিশ্ব জাগানো এই পপ তারকা তার জীবদ্দশায় করেছেন অসংখ্য শ্রোতা নন্দিত গান। যা যুগের পর যুগ বাঁচিয়ে রাখবে তার ভক্ত শ্রোতাদের। আর ভক্তরাও তাকে মনে রাখবেন আজীবন।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে আসে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ আয় করা মৃত তারকাদের তালিকা। এবছর তার আয় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা সেরা ১০ তালিকার মধ্যে সর্বোচ্চ আয়।

জানা যায়, জনপ্রিয় সাময়িকী ফোর্বস ‘টপ-আরনিং ডেড সেলিব্রেটিস ২০১৯’-এর তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে উঠে আসে মাইকেল জ্যাকসনের নাম। সেরা ১০ তালিকার ১০ নম্বরে আছেন নিপসি হাসল, যিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। যার এক বছরে আয় ১১ মার্কিন ডলার।

উল্লেখ্য, মাইকেল জ্যাকসন ২০০৯ সালের ২৫ জুন মৃত্যুবরণ করেন। জীবদ্দশায় পেয়েছিলেন ১৫ টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ক্যাসেট আর সিডি বিক্রি হয়েছিল তার, এখনো হয়। মুলত, পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে মাইকেল জ্যাকসনকে প্রথমে কপিকল অপারেটর হিসেবে কারখানায় কাজ করতে হয়েছিল অনেকদিন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার ভাইদের সঙ্গে ‘জ্যাকসন-৫’ মিউজিক্যাল গ্রুপে যোগ দেন। সেখান থেকে প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘ডায়ানা রোজ’ ১৯৬৯ সালে প্রকাশ হলে অ্যালবামের প্রথম একক গান ‘আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক’ ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে বিলবোর্ডের হট তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে এককভাবে মাইকেল জ্যাকসনের ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘বেন’ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে তার পরবর্তী অ্যালবাম ‘অফ দ্য ওয়াল’ বের হয়। এখান থেকে ‘ডোন্ট স্টপ টিল ইউ গেট অ্যানাফ’ ও ‘রকিং উইথ ইউ’ গান দুটির মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি।

তিনি শুধু গান করতেন না, একাধারে গীতিকার, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি পেয়েছিলেন।
টিভি পর্দায় মাইকেল জ্যাকসনের নাচ-গানই ভক্তকূলের হৃদয় জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু ‘লাইভ’ কনসার্টে তার পারফরমেন্সে বিমোহিত হতে বাধ্য হয়েছে জ্যাকসন বিদ্বেষীরাও।
অফুরন্ত জীবনীশক্তি আর প্রাণবন্ততা দিয়ে স্টেজ মাতানোয় খ্যাত ছিলেন তিনি।

তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন মিউজিক ভিডিও কেমন হওয়া দরকার । সেটা বুঝি ‘থ্রিলার’ হাতে–কলমে দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে তাঁর ‘বিলি জিন’ এরপর ‘থ্রিলার’ তাকে নিয়ে গিয়েছিল উচ্চতার স্বর্ণশিখরে।

বিশেষ তরে তার কনসার্টগুলো ছিলো অসাধারণ। ১৯৯২ সালে ‘দ্য ডেনজারাস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ চলেছিল পাঁচ মাস ধরে। এই সময়ের মধ্যে জ্যাকসন করেছিলেন ৬০টি কনসার্ট।

কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের অনেকেই মনে করেন, সে সময়কার সঙ্গীতজগতে বিদ্যমান বর্ণ বৈষম্য দূর করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
তাকে বলা হতো সর্বপ্রথম কৃষ্ণাঙ্গ তারকা। যিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা সেসময়কার উদীয়মান আফ্রিকান-আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে দারুণ অনুপ্রেরণা তৈরী করেছিল।

তবে মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পপস্টারের মৃত্যুর জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও তার গাফিলতিই দায়ী বলে লস এঞ্জেলেসের আদালত রায় দেয়। যদিও মুরের আইনজীবীরা দাবি করেন, জ্যাকসন স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত মাত্রায় ওই ওষুধটি নিয়েছিলেন। তবে কি এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা হিসাব কষে দুইয়ে দুইয়ে চার আজও মিলেনি।

বিশ্বজুড়ে আজো কাটেনি তাকে নিয়ে জানার আগ্রহ৷ কারণ বাঁধভাঙা জনপ্রিয়তা পাওয়া জ্যাকসন সেই কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী যার গান শ্বেতাঙ্গ দুনিয়াকেও কাঁপিয়েছিল। সেই শিল্পী যার গান শোনার পাশাপাশি অনুকরণ করে কেটেছে লক্ষ লক্ষ কিশোর-তরুণ-যুবকের দিন-রাত।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *