প্রাকৃতিক ওষুধে করোনা জয় !
কোভিড-১৯’র কারণে গোটা বিশ্ব দিশেহারা । ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষেধক তৈরীর জন্য । এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কার্যকর কোনো প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি; রেমডেসিভির বাজারে পাওয়া গেলেও উচ্চমূল্যের কারণে এই ওষুধ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এ পরিস্থিতিতে শতবর্ষ ধরে চলে আসা ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হারবালে ওষুধে এবার আশার আলো দেখছেন গবেষকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ৩ মাসে ভেষজ ওষুধের চাহিদা বেড়েছে তিনগুণ । ভারতেও এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা ।
বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক গবেষণা করে জানিয়েছেন, হামদর্দের হারবাল অ্যান্টিসেপ্টিক ও ব্যথানাশক কুলজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভাইরাসবিরোধী হিসেবে ব্যবহৃত সিরাপ ফেভনিল এবং শ্বসনতন্ত্র রোগের লক্ষণ নিরাময়ে ওষুধ সাদুরী এক সঙ্গে ব্যবহার করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অনেকে ।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকজন জানিয়েছেন, তিনটি ওষুধের সম্মিলিত প্রয়োগে ৭ দিনের মধ্যে তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। খরচ পড়ছে মাত্র ২০০ টাকা! হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে সারাদেশে ৫০ থেকে ৭০জন কোভিড-১৯ এর উপসর্গ বহন করা রোগীর উপর এ ওষুধ প্রয়োগ করে শতভাগ সফল হয়েছেন। আর কোয়ারেন্টিনে থাকা ৭০০জন মানুষ এখন সম্পূর্ণ সুস্থ ।
হামদর্দের গবেষক দল জানান, ১ বাটি গরম পানির সঙ্গে ৪-৫ ফোঁটা কুলজম মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার শ্বাস টেনে ভাঁপ নিতে হবে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হলে টিস্যু বা রুমালে দু এক ফোঁটা কুলজম নিয়ে নাকে শ্বাস টানতে হবে। প্রাপ্ত বয়ষ্ক হলে প্রতিদিন ২-৩ বার ২-৪ চা চামচ সিরাপ ফেভনিল সেবন করতে হবে। আর সিরাপ সাদুরী প্রতিদিন ২-৩ বার ২ চা চামচ করে সেবন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে আরো বড় আকারে গবেষণা হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি এগিয়ে আসে তাহলে সম্ভাবনার যুগান্তকারী দুয়ার উন্মুক্ত হবে।