fbpx
হোম অন্যান্য প্রবাসী মিনা ইসলামের শেষ আকুতি
প্রবাসী মিনা ইসলামের শেষ আকুতি

প্রবাসী মিনা ইসলামের শেষ আকুতি

0

মানবিক ও সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে দৃঢ় প্রত্যয়ী মিনা ইসলাম । সমাজের নানা অসঙ্গতি ও অন্যায় তাকে যন্ত্রনা দেয় বলে বিভিন্ন সময়ে তার প্রতিবাদও করেন । আর মানবিক কাজগুলোতে নিয়মিত অংশ নেন নিজ বিবেকবোধ থেকে ।

মিনা ইসলাম ছোটবেলা থেকেই ছিলেন পরপোকারী । আড়াই যুগেরও বেশী সময় আগে নিজের এবং দেশের উন্নয়ন করতে গিয়েছিলেন বিদেশের মাটিতে । যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই নারী ভাগ্যের চাকা বদলিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের মাটিতে এসেছেন ফেলে যাওয়া গ্রাম ও দেশের মানুষের খোঁজ করতে । মূলত তিনি নিয়মিতই খবর রাখেন তার এলাকার ।

কিশোরগঞ্জ ভৈরবে মিনা ইসলামের গ্রামের বাড়ি । দুই ছেলে , এক কন্যা সন্তান ও স্বামী নিয়ে মিনা ইসলাসের সুখের সংসার । স্বামী ,ছেলে-মেয়ে সবাই মিনা ইসলামের এই সকল কাজে উৎসাহ এবং সহযোগীতা করেন । তিনি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের স্টেট প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্র তারার আলো সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র কিশোরগঞ্জ জেলা এ্যাসোশিয়েসনের উপদেষ্টা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন ।

দলের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে থেকেও তিনি মূলত সবার জন্য কাজ করতে অনেক উৎসাহবোধ করেন । এজন্য দেশের মাটিতে আসার পর অনেক প্রসংশিত তিনি । পেয়েছেন সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা । ভৈরববাসী তাকে কৃতি সন্তান হিসেবে দিয়েছেন বিশেষ মর্যাদা ও গণসংবর্ধনা । মিনা ইসলাম তার এ জীবদ্দশায় ভৈরবের পাশে থেকে নিজের জীবনটা উৎসর্গ করতে চান । সম্প্রতি তিনি কথা দিয়েছেন, নিজের অর্থায়নে নির্মাণ করবেন একটি কমিউনিটি সেন্টার , যা তার এলাকাবাসীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে কাজে লাগবে । পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন স্কুল , কলেজ , মাদ্রাসা ও সামাজিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখারও ঘোষণা দেন ।

তিনি নতুন করে এসব করছেন তেমনটা নয় । অনেক আগে থেকে এসব কর্মকান্ড করে আসছেন ভৈরববাসীর জন্য । এর আগে বিভিন্ন সময়ে বন্যা দূর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। দিয়েছেন অর্থ সহায়তা ।  মিনা ইসলাম ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার উদ্যেগে রায়ের বাজার বদ্ধভূমির পথকলি স্কুলে ঈদবস্ত্র বিতরণ করেছিলেন তিনি । এবং ভৈরবে একটি মিনা টাওয়ারও প্রতিষ্ঠা করেন ।

এই সকল কাজের বিষয়ে অনুভূতি জানতে চাইলে মিনা ইসলাম জানান, মানব সেবাই বড় সেবা । যারা অসহায় ও অস্বচ্ছল তাদের দেখার কেউ নাই । তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি । আর সামাজিক কাজ করা একটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো ভৈরববাসীর পাশে থেকে কিছু করার । তিনি ভৈরববাসীর কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চেয়েছেন । যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এলাকার জন্য, এলাকার মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চান প্রবাসী মিনা ইসলাম।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
2

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *