fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ; আটক ৭ জন
প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ; আটক ৭ জন

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ; আটক ৭ জন

0

গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে গৃহবধূর স্বজনদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছে ধর্ষণকারীরা।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংগঠিত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তারর করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কাপাসিয়ার তরগাঁও পূর্ব পাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা বেপারীর ছেলে রোমান বেপারী (২০), তরগাঁও এলাকার মো. মহসিন বেপারীর ছেলে মো. জুবায়ের বেপারী (২০), একই এলাকার মফিজ সরদারের ছেলে মো. মোরসালিন সরদার (২১), তরগাঁও এলাকার এহসান বেপারীর ছেলে মো. সাহাবুল হোসেন সাকিব (২২), তরগাঁও বোয়াল্লেরটেক এলাকার মৃত শফুর উদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ (২১), একই এলাকার শামসুল হক ভূঁইয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (২০) ও  বাদল মোড়লের ছেলে মাহফুজুল। তবে এ ঘটনার মূল হোতা কাপাসিয়ার চরখামের গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।

কাপাসিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন জানান, কাতার প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী নরসিংদীর মনোহরদীর বীরআহাম্মদপুর  এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন। ধর্ষণকারী সাখাওয়াত হোসেনের সাথে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে তার কথা হতো।

গত বুধবার ওই গৃহবধূ শশুর বাড়ি হতে বাবার বাড়ি কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকায় বেড়াতে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাখাওয়াত ওই গৃহবধূকে একটি মোবাইল ফোন দিবে বলিয়া বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাখাওয়াত তার দলবল নিয়ে কৌশলে গৃহবধূকে তরগাঁও নবীপুর নর্দারটেকে নিয়ে যায়। সেখানে সাখাওয়াতসহ ৪ জন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অন্যরা এ কাজে সহায়তা করে।

পরে ধর্ষণকারীরা গৃহবধূকে আটকে রেখে তার মায়ের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে জানায় আপনার মেয়েকে ফেরত নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে এবং মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

এ খবর শোনার পর ভীত অবস্থায় গৃহবধূর মা মামলার কাপাসিয়া থানায় এসে ঘটনা জানায়। পরে পুলিশ উক্ত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। গৃহবধূর তথ্য অনুযায়ী একে এক করে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় মূল হোতা পালিয়ে যায়।

গাজীপুর পুলিশের এএসপি (সার্কেল) ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মারাত্মক। ঘটনার সাথে জড়িত প্রায় সবাইকেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *