জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুশিল্পী এখন চা বিক্রেতা !
২০০২ সালের ১৫ মে ৫৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটির আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী হয় ২০০২ সালে তারেক মাসুদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র মাটির ময়না।
যেখানে ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট আয়োজনে মাটির ময়না জিতে নেয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে ফিপরেস্কি আন্তর্জাতিক সমালোচকদের পুরষ্কার। বাংলাদেশেও সিনেমাটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারে পুরষ্কার অর্জন করে।
এই চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নুরুল ইসলাম বাবলু। সিনেমায় যে কখনো আনু আবার কখনো আনোয়ার নামে পরিচিত। যার মাধ্যমেই নির্মাতা সিনেমার মূল গল্প তুলে ধরেছেন। অভিনয় দক্ষতায় এই আনু জিতে নেয় শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার।
১৮ বছর আগে চলচ্চিত্রের রঙিন দুনিয়ায় পা দিয়ে যেই আনুর হাতে গেলো বাংলা সিনেমার সর্বোচ্চ পুরষ্কার তিনি নিশ্চয়ই এরইমধ্যে করে ফেলেছেন অসংখ্য সিনেমা।
রঙিন দুনিয়ায় জায়গা হয়নি নুরুল ইসলাম বাবলুর। বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন সময় করেছেন বিভিন্ন কাজ। সর্বশেষ ধারদেনা করে চা দোকান দেন তিনি। কিন্তু সেখানে এসে পড়ে করোনার থাবা। চারমাস পরিবার নিয়ে বাড়িতে থাকলেও সংসার চালানোর তাড়োনায় আবারো এসে চালু করেন এই চা দোকান। জানালেন ভালো নেই তিনি। শোবিজে টিকে থাকতে নামকরা পরিচালক প্রযোজকদের কাছে গিয়ে আশ্বাস মিললেও মিলেনি কাজ।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পাওয়ার গৌরব এখন আর আনন্দ দেয় না বাবলুকে। কোথায় আছে সেই মেডেল আর ক্রেস্ট জানতে চাইলে বলেন, সে খবর রেখে লাভ কী বলেন।
পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগের অভাবে সেটি করতে পারেননি বাবলু। নিজেকে চলচ্চিত্রে ইন্ড্রাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও এখন আর নেই সেই স্বপ্ন। এখন চলচ্চিত্রের রঙিন আঙিনায় নয় শুধুই পরিবার নিয়ে ভালো থাকার প্রত্যাশায় মাটির ময়নার আনু।