পৃথিবীর কক্ষপথে আরেকটা চাঁদের সন্ধান !
ছোট্ট আরেকটা চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে !- প্রথমে এমনটাই ভাবা হয়েছিল। যদিও প্রথমেই এক বিজ্ঞানী আন্দাজ করে বলেছিলেন যে, হাতির আকারের ওই চাঁদ আসলে ব্যর্থ হওয়া চন্দ্রাভিযানের একটু টুকরো। তবে এত দিনে প্রমাণ হলো যে, এটি সত্যিই তাই।
আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার থেকে টেলিস্কোপে প্রথম চোখে পড়ে এই বামন চাঁদটি। সৌর জগতের সমস্ত গ্রহ, গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, নামকরণের সব দায়িত্ব রয়েছে এই আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের উপরে। তো, সেই সব গবেষণা মোতাবেকে এখন জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে চাঁদের মাটিতে একটি রকেট পাঠানো হয়। কিন্তু কোনও কারণে এটি সফল হয়নি। দীর্ঘ ৫৪ বছর এটির কোনও খোঁজও পায়নি নাসা। এত বছর পর পৃথিবীর কক্ষপথে এসে পড়ায় এটিকে অনেকেই গ্রহাণু বলে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।
এই আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের এক মহাকাশবিজ্ঞানী হলেন ক্যাসপার উইজখোর্স। তিনি সম্প্রতি এই ২০২০ সিডি-৩ নিয়ে টুইট করেছেন। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে দলের সদস্য ক্যাসপার এবং তার অন্যান্য সহকর্মীরা প্রথম ১৫ ফেব্রুয়ারি এই গ্রহাণুটির খোঁজ পান। ক্যাসপার সেই সময়ে জানিয়েছেন, এ ধরণের গ্রহাণু কয়েক লাখ রয়েছে।
তবে পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়ার ঘটনা মহাকাশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে ২০০৬ আরএইচ১২০ নামের এক গ্রহাণু অল্প কিছুদিনের জন্য ঢুকে পড়েছিল পৃথিবীর কক্ষপথে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণও করেছিল। সেটিও প্রথম চোখে পড়ে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে-র সদস্যদের। তবে ঠিক কী কারণে এই গ্রহাণু আসে পৃথিবীর কক্ষপথে ? বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের মিলিত প্রতিক্রিয়ায় এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান বিগত তিন বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে ২০২০সিডি ৩। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১-এর মে মাসের মধ্যে ফের কক্ষপথ পালটে ফেলবে, এমন ধারণাও করেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। অনুমান করা হয়েছিল আগামী বছরের শুরুতে পৃথিবীর আরও কাছে এসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটির।