‘পূজার দিনে নির্বাচন মানি না, মানি না’
‘পূজার দিনে নির্বাচন মানি না, মানি না’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই।’
আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এমন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘৩০ তারিখের নির্বাচন মানি না, মানব না’ বলে স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল ১৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার পরেও দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন না করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আবারও শাহবাগের রাস্তা অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাড়াও বিভিন্ন হলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এসময় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সংস্কৃতি সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস, জিএস কাজল দাশ প্রমুখ।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন চেয়ে করা রিট মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই। গত ২২শে ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৩০ শে জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়েছে।
অপরদিকে নির্বাচন কমিশনের জানান, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভোটের তারিখ ৩০শে জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে ইসি। ২৯শে জানুয়ারি ঐচ্ছিক ছুটি। ৩১ শে জানুয়ারি শুক্রবার। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু। সবদিক বিবেচনা করেই ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।