নুরের সিনেট অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা, যা বলছে ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সিনেটের শিক্ষার্থী-প্রতিনিধি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন শুরু হবে। তবে ‘নৈতিকতার’ জায়গা থেকে এ অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নুর।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, অচল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ডাকসুর প্রতিনিধি হয়ে সিনেটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা নৈতিকতাবিরোধী। এ কারণে গত এক বছর সিনেট সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভায় আমন্ত্রণ পেলেও আমি অংশগ্রহণ করিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে অংশ নিচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে সিনেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হোক।
তবে ছাত্রলীগ বলছে, এটি নুরের ‘মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা’ ছাড়া কিছু নয়।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্য সংখ্যা ১০৫। এর মধ্যে ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী-প্রতিনিধি থাকেন। পরবর্তী ডাকসু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রত্ব থাকা সাপেক্ষে ওই শিক্ষার্থী-প্রতিনিধিরা সিনেটের সদস্য থাকতে পারেন।
এই নিয়ম অনুযায়ী ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেন, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার ও সনজিত চন্দ্র দাস সিনেট সদস্য পদে বহাল আছেন।
নুর অংশগ্রহণ না করলেও ছাত্রলীগের প্রতিনিধিরা সিনেট অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন।
তিনি বলেন, ডাকসুর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও নুর ভিপি পদে বহাল থাকতে চেয়েছিলেন। সেই নুর এখন নৈতিকতার কথা বলছেন!
ছাত্রলীগ সব সময়ই ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, নুরের সিনেট অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা অ্যাটেনশন সিক (মনোযোগ আকর্ষণ) করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।