নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টাইগারদের দাপট
মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে দুটি চারে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর ব্যাটে ছন্দটা ঠিকই আছে। মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফেরার পরও লিটন দাসের ব্যাট আলো ছড়াচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে এরই মধ্যে ৪২ রান করে ফেলেছেন লিটন। অন্য প্রান্তে মুমিনুল অপরাজিত ৪৫ রানে। এরই মধ্যে জুটিতে ৭৮ রান হয়ে গেছে। বাংলাদেশের রান এই মুহূর্তে ১০৬ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮১, নিউজিল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে আর ৪৭ রানে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আজ তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের শেষ দিকে দলকে ২০৩ রানে রেখে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিক ফেরার পর নেমেছেন লিটন। এখন পর্যন্ত বল খেলেছেন ৫৫টি, চার মেরেছেন ৬টি। তবে একেবারে যে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলছেন লিটন, এমন নয়। ছাড়ার বল দেখেশুনে দারুণভাবে ছাড়ছেন। আর যখন শট খেলছেন, মুগ্ধ করছেন বারবার। ৬টি চারের সবগুলোই এসেছে চোখজুড়ানো শটে। কখনো স্ট্রেইট ড্রাইভ, কখনো কাভার ড্রাইভ, তো কখনো ওয়াগনারের শর্ট বলকে আছড়ে মারছেন মিডউইকেটে।
নিয়ন্ত্রণ, আগ্রাসন, কব্জির ব্যবহার, রেশমি পেলব বোলানো শট, রক্ষণাত্মক শটেও আত্মবিশ্বাস.. লিটনের ইনিংসে মুগ্ধ না করে পারে না!
অন্যদিকে মুমিনুলও মধ্যাহ্নভোজের পর আরেকটু আগ্রাসী হয়েছেন, তবে সেশনের শুরুতে একটু নড়বড়েই লেগেছে তাঁকে। সেশনের প্রথম ওভারে জেমিসনের প্রথম বলেই পয়েন্টে লিটনের দারুণ শটে আসে ৩ রান, দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লুর আবেদন ওঠে মুমিনুলের বিরুদ্ধে। নিউজিল্যান্ড রিভিউ নিলেও সে যাত্রায় বেঁচে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের দুই ওভারে ওয়াগনারকে দুটি ও জেমিসনকে একটি চার মারেন মুমিনুল, তিনটিই দারুণ শটে। কিন্তু সেশনের তৃতীয় ওভারে জেমিসনের শেষ বলে কনুইয়ে বলের আঘাত পান মুমিনুল। ফিজিওর শুশ্রুষার পর অবশ্য ব্যাটিং চালিয়ে যেতে সমস্যা হয়নি তার। এরপরও জেমিসন-ওয়াগনারদের বলে দু-তিনবার পরাস্ত হয়েছেন মুমিনুল। তবে সেশন যত এগিয়েছে, মুমিনুলের শটে, শট নির্বাচনে নিয়ন্ত্রণ তত ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই সেশনে ৬টি চার মেরেছেন তিনি, যেখানে তাঁর ১৩৬ বলের ইনিংসে সব মিলিয়ে চার ৭টি।