fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা দেশে লাইসেন্সবিহীন ৫০ টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল
দেশে লাইসেন্সবিহীন ৫০ টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল

দেশে লাইসেন্সবিহীন ৫০ টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল

0

বাংলাদেশের ৫০ ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ৷ আর কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ হাসপাতালের কোনো লাইসেন্সই নাই৷ গত দুই বছরে লাইসেন্স বাতিল হয়েছে মাত্র একটি হাসপাতালের৷

এই তথ্য খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের৷ সংশ্লিষ্ট শাখা এবং দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাগজপত্র দেখে এই তথ্য দিলেও তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি৷ বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স ২০১৩ সালের পর আর নবায়ন হয়নি৷ কিন্তু এই হাসপাতালের সাথেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড হাসপাতালের চুক্তি করেছিলো৷

অধিদপ্তরের দাবি করেছে, উত্তরার এই হাসপাতালটিতে কয়েকবার অভিযান চালিয়ে তাদের সতর্ক করলেও তারা তা আমলে নেয়নি৷ নিয়ম অনুযায়ী এখন সব বেসরকারি হাসপাতালের রেজিষ্ট্রেশন অনলাইনে বাধ্যতামূলক৷ কোনো একটি শর্ত পুরণ না করতে পারলে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন হয় না৷ তাই নবায়নও হয় না৷

লাইসেন্স দেয়া হয় ১০ বেডের হাসপাতাল বা ক্লিনিক হিসেবে এক বছরের জন্য৷ প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়৷ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে একই নিয়ম৷ এই হাসপাতালের লাইসেন্স পেতে হলে কমপক্ষে তিন জন এমবিবিএস ডাক্তার, ছয় জন নার্স ও দুইজন ক্লিনার থাকতে হবে৷

প্রত্যেকটি বেডের জন্য ৮০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে৷ অপারেশন থিয়েটার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হবে৷ আর সেখানে কি কি আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে তাও বলা আছে৷ এরসঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন নাম্বার, বিআইএন নাম্বার, পরিবেশ এবং নারকোটিকস-এর লাইসেন্স লাগবে৷ অপারেশন থিয়েটারের জন্য নারকোটিকস-এর লাইসেন্স বাধ্যতামূলক৷ তবে আউটডোর, এমার্জেন্সি এবং অপারেশন থিয়েটার বাধ্যতামূলক নয়৷ হাসপাতালের ধরন অনুযায়ী শর্ত থাকে৷

আবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম সরেজমিন পরিদর্শন করে লাইসেন্স দেয়৷ লাইসেন্স নিতে ঢাকায় ৫০ হাজার এবং জেলা উপজেলায় ৪০ হাজার টাকা লাগে৷ ১০ বেডই প্রাইভেট হাসপাতালের ইউনিট৷ এরপর বেড বেশি হলে আনুপাতিক হারে জনবল বাড়ে৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে চার হাজার ৮৪টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এপর্যন্ত অনলাইনে লাইসেন্স নিয়েছে৷ তবে লাইসেন্স আছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৫৫টি৷ রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় আছে ২৯৪টি৷ যারা আগে ম্যানুয়ালি লাইসেন্স নিয়েছে তাদেরও আবার অনলাইনে লাইসেন্স নিতে হবে৷

এইসব হাসপাতালের অর্ধেকই লাইসেন্স নবায়ন করেনি৷ এক বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করতে লাগে পাঁচ হাজার টাকা৷ ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়৷ তবে বাস্তবে সারাদেশে সাত হাজারের মত প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে৷ যার একটি অংশের লাইসেন্সই নাই৷ কেউ কেউ আবার আবেদন করেই হাসপাতাল চালু করে দেন৷

সার্বিক বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ কথা বলতে রাজি হননি৷ তিনি জানান, ‘‘আমি গত এক সপ্তাহ ধরে মিডিয়ার সাথে কথা বলছি না৷ এখন থেকে মিডিয়া সেল কথা বলবে৷’’ কিন্তু মিডিয়া সেলে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো তথ্যই দিতে পারেনি৷

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *