fbpx
হোম জাতীয় দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

0

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। এরপরই সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি তাকে শপথ পড়াবেন। শপথের পর এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলীর পরিবর্তে তাকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে এ নিয়োগের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ছুটিতে গেছেন বিচারপতি ইমান আলী। আগামী মার্চ পর্যন্ত তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিদায়ি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বিদেশ থেকে তার পদত্যাগের পর ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালন শেষে আজ শুক্রবার তিনি অবসরে গেলেন। এখন প্রধান বিচারপতি পদে তার স্হলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ১৯৭২ সালে তিনি খোকসা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর সাতক্ষীরা আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৪ সালে তিনি ঐ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তার পর তিনি ধানমন্ডি ‘ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে তাকে হাইকোর্টের স্হায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে বাদ দেয়। তার সঙ্গে আরও ৯ জন বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঐ বাদ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাদ পড়া ১০ বিচারপতি। এরপর হাইকোর্ট ঐ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। ঐ রায়ের পর ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে স্হায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ১০ জন। যা ১০ বিচারপতির মামলা নামে পরিচিত। এরপর ২০১৩ সালের মার্চ মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *