দায়েশ মাথাব্যথার কারণ হলেও হুমকি নয়: তালেবান সরকার
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এর পর তারা দেশটিতে সরকার ঘোষণা করে। তালেবানের পুনরুত্থানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তানে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়েই মূলত উদ্বিগ্ন।=
উদ্বিগ্ন হওয়ার যৌক্তিকতাও রয়েছে। কেননা, গত কয়েক দিনে জঙ্গিরা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। তবে জঙ্গিদের এমন কর্মকাণ্ডে খুব একটা চিন্তিত নয় তালেবান সরকার। সরকার বলছে, দায়েশ হুমকি নয়।
তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, দায়েশ জঙ্গিদের দ্রুতই দমন করা হবে।
জাবিহুল্লাহ বলেন, আমরা দায়েশকে হুমকি বলতে চাই না। কিন্তু আমরা একে মাথাব্যথা বলি। এটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু কিছু জায়গায়।
তালেবান সরকারের এ উপমন্ত্রী বলেন, দায়েশের প্রতি আফগানিস্তানের জনগণের সমর্থন নেই।
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দায়েশ আফগানিস্তানের জন্য বড় ধরনের হুমকি। যদি তাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান না চলানো হয় বা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে গোষ্ঠীটি তাদের কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দিতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক তামিম বাহিস বলেন, দায়েশের আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে যথেষ্ট সমর্থন নেই। সমর্থন ছাড়া দায়েশ বেশি দিন লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে না। যাই হোক, দায়েশের সঙ্গে লড়াই তালেবানের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে।
সম্প্রতি ইসলামিক আমিরাত (আফগানিস্তানের বর্তমান নাম) কাবুলের একটি জেলা থেকে দায়েশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। নানগারহার প্রদেশেও দুই দায়েশ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগানিস্তানে দায়েশের উপস্থিতি নিয়ে অব্যাহতভাবে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানানোর পর তালেবান সরকার জঙ্গিদের গ্রেফতার করল।