দারুল উলুম দেওবন্দে পুলিশি অভিযান
ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত দারুল উলুম দেওবন্দে পুলিশি অভিযান চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার।
এসময় সরকারি অনুমতি না নিয়ে হেলিপোর্ট নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে এই অভিযান পরিচালিত করা হয়েছে।
পুলিশের তল্লাসির সময় জেলা প্রশাসক অলোক পান্ডে, পুলিশের এসএসপি দীনেশ কুমার ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকারীদল দারুল উলুম দেওবন্দের সীমানায় নির্মাণাধীন শাইখুল হিন্দ লাইব্রেরির উপরে হেলিপোর্ট নির্মাণের বিষয়ে অনুসন্ধান করেন।
ডিএম অলোক পান্ডে জানায়, আমরা তদন্ত করেছি। দারুল উলুম দেওবন্দের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গ্রন্থাগারসহ হেলিপোর্ট নির্মাণের কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। সুতরাং এসডিএম সহ পিডব্লিউডিকে এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতাসহ ইত্যাদি যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ ডিএম অলোক কুমার পান্ডে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম নোমানীকে গত ২৬ শে জুন ২০১৯ ভবন নির্মানের অনুমতিপত্র, এনওস এবং হেলিপোর্ট নির্মান সম্পর্কিত যাততীয় তথ্য এক সপ্তাহের মধ্যে দেয়ার জন্য নোটিশ পাঠায়।
দেওবন্দের মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম নোমানী গত ৪ জুলাই ২০১৯ লিখিতভাবে শুধুমাত্র এতটুকু জবাব দিয়েছে যে, লাইব্রেরি ভবনের উপরে কোনো হেলিপোর্ট নির্মান করা হচ্ছে না।
পরে গত ২০শে জুলাই ২০১৯ দ্বিতীয়বার মুহতামিম বরাবর নোটিশ জারি করে নির্মাণাধীন লাইব্রেরি ভবনের যাবতীয় তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে।
সে নোটিশে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া না গেলে আর বি ও আইন ১৯৫৮ অনুযায়ী দারুল উলুম দেওবন্দের সীমানায় চলমান নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। তারই ধারবাহিকতায় স্থানীয় প্রশাসন দারুল উলুম দেওবন্দে তল্লাশি চলায় এবং লাইব্রেরির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
দারুল উলুম দেবন্দের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে মাদ্রাসার কোন নির্মাণ কাজের জন্য প্রশাসনিক অনুমতির প্রয়োজন হয়নি, তাই লাইব্রেরি ভবনের নির্মাণের জন্য কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। যেহেতু সরকার অনুমতি পত্র চাইছে, তাই নতুন করে অনুমতি নেয়া হবে ভবন নির্মাণের।