দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ সহিংসতায় নিহত ৭২
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে জেল দেয়ার পর সহিংসতার আগুন জ্বলছে। তার নিজের প্রদেশ কাওয়াজুলু-নাতাল থেকে জোহানেসবার্গ পর্যন্ত, গাউতেং প্রদেশে সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েকদিনে সেখানে কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ সার্ভিস। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২৩৪ জনকে। অব্যাহতভাবে চলছে লুটপাট আর দাঙ্গা। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, মঙ্গলবারও দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে শপিং মলগুলোতে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে শপিং মলগুলোতে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে জেলে পাঠানোর পর কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে দেশটিতে। গত সপ্তাহে জ্যাকব জুমাকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বর্ণবাদের অবসান হওয়ার ২৭ বছর পরেও দেশটিতে অসমতা আর ক্ষোভ অব্যাহত রয়ে গেছে। এ বছর প্রথম তিন মাসে সেখানে নতুন রেকর্ড পরিমাণ শতকরা ৩২.৬ ভাগে দাঁড়িয়েছে বেকারত্ব। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, সহিংসতা ও লুটপাট বন্ধের জন্য কাজ করছে তারা।
জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বহুবিধ অভিযোগ আছে। এই অভিযোগকে দেশটিতে বর্ণবাদ পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আইনের শাসনের সক্ষমতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন। উচ্চ পর্যায়ে ঘুষ নেয়ার একটি অভিযোগের শুনানিতে তিনি উপস্থিত হতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হন। এ জন্য তাকে ১৫ মাসের জেল দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার তিনি শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। ওদিকে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ফেরাতে পুলিশকে সহায়তায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। জ্যাকব জুমা ও তার সমর্থকরা দাবি করেছেন জুমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ কাজ করিয়েছে তার উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট সাইরিল রামফোসা।