fbpx
হোম আন্তর্জাতিক তরুণীদের আইকন ১৩ বছরের মারইয়াম মাসুদ
তরুণীদের আইকন ১৩ বছরের মারইয়াম মাসুদ

তরুণীদের আইকন ১৩ বছরের মারইয়াম মাসুদ

0

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মারইয়াম মাসুদ । বাবা-মা আর ৩ বোনের সঙ্গে বাস করে নিউজার্সির সমারসেটে । বাবা–মা দুজনেই বাংলাদেশি ।

বাবা মাসুদুর রহমানের বাড়ি বগুড়া আর মা শাকিলার বাড়ি দিনাজপুর । তবে মারিয়ামের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা আমেরিকায় । ভিনদেশে, ভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা এই শিশুর বয়স যখন মাত্র ৩ বছর, তখনই ওর সুরেলা কণ্ঠের কোরআন পাঠ বিস্মিত ও মুগ্ধ করত সবাইকে । দুই বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অবশেষে মারইয়াম ৩০ পারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছে ।

শিশুটি জন্মগ্রহণ করার পরই মা শাকিলা মনে মনে নিয়ত করেছিলেন, সন্তানটিকে তিনি কোরআনে হাফেজ বানাবেন । বাস্তবে সেটাই হয়েছে । তাঁর মেয়ে শুধু  কোরআন শরিফ মুখস্থ করেনি, এখন সে সারা পৃথিবীর মুসলিম তরুণ সমাজের আইকন । মারিয়ামের বাবা মাসুদুর রহমান পেশায় একজন সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট । ব্যারাইজন ওয়ারলেস টেকনিক্যাল টিমের সদস্য তিনি । তিনিই মেয়ের ইউটিউব ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে দেন । মারইয়াম বর্তমানে নিউজার্সির গভর্নর ফিল মারফির একটি প্রচার কাজে সাহায্য করছে ।

ইন্টারফেইথ হিউম্যানেটারিয়ান’ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সে । বিশ্বকে পাল্টে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে কোরআনে হাফিজা মারইয়াম মাসুদ । অনেকে বলেন, আজকালের দিনে দ্বীন ও দুনিয়ার মধ্যে সমন্বয় রাখা কঠিন । কিন্তু মারিয়াম সেটা করে দেখিয়েছে । সে যে শুধু কোরআনের আয়াত সুন্দরভাবে তিলাওয়াত করে তা নয়, ধর্ম সম্পর্কেও গভীর ও প্রকৃত জ্ঞান রাখে । পবিত্র কোরআনে হাফেজা হওয়ার জন্য সে প্রথমে ধন্যবাদ জানায় আল্লাহ তায়ালাকে । ভবিষ্যতে ইসলামিক স্কলার হতে চান মারইয়াম, যাতে আগামী প্রজন্ম পবিত্র কোরআন পড়তে ও তার বাণীর সৌন্দর্য্য অনুধাবন করতে পারে ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
4

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *