ড্রোন হামলার কঠিন জবাব দিতে রিয়াদ প্রস্তুত: সৌদি বাদশাহ
সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে হামলার কঠিন জবাব দিতে রিয়াদ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এরমধ্যেই, হামলার জন্য আবারও ইরানকে দায়ী করে তাদের প্রতিহত করতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনা নিরসনে ইরানের পরমাণু চুক্তি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি।
শনিবার সৌদ আরবের তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। হামালায় অর্ধেকে নেমে যায় রিয়াদের জ্বালানি উত্তোলন। যার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও। মঙ্গলবার সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।
জ্বালানি মন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন সালমান বলেন, হামলায় তেল উত্তোলনে যে ব্যাঘাত ঘটেছে, তার ৫০ শতাংশ কাটিয়ে উঠতে পেরেছি আমরা। আমাদের তেলের ক্রেতাদের সঙ্গে এ মাসেই বসবো। এ মাসের শেষের দিকে ১ কোটি ১০ লাখ, এবং নভেম্বরের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলনের লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছাবে রিয়াদ।
করণীয় নির্ধারণে এদিন আলোচনায় বসে সৌদি মন্ত্রিপরিষদ। উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। পরে বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার ভয়াবহ জবাব দিতে রিয়াদ প্রস্তুত।
এদিকে, ইরান থেকে হামলা চালানো হয়েছে বলে আবারও দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। হামলাকারীদের প্রতিহতে প্রস্তুত থাকার কথাও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জবাবে, ইরান জানায়, সত্য অস্বীকার কোরে মিথ্যাচার করছে ওয়াশিংটন। মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইয়েমেনিদের হামলা বন্ধ করা যাবে না বলেও সতর্ক করা হয়।
হামলার পরই এর দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহী। ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে হাউথি দমনে অভিযান চালিয়ে আসছে সৌদি জোট। এদিকে, ইরান হামলা চালিয়েছে এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। এছাড়া হামলার সমন্বিত জবাব দেয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। সংকট সমাধানে ইরানের পরমাণু চুক্তি ফেরার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে বার্লিন।