ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লেখিকা জ্যাঁ ক্যারোলকে ধর্ষণের অভিযোগ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে যেন বিতর্ক শেষ হবার নয়। এবার তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন মার্কিন লেখিকা ই জ্যাঁ ক্যারোল। এমন অভিযোগ আনার পর ট্রাম্প বলেছেন, ক্যারোল তার যোগ্যই নন। ফলে তিনি মানহানি মামলা করেছেন।
ই. জিন ক্যারোল নামের ওই নারী জানিয়েছেন, নব্বইয়ের দশকের কোনো এক সময় নিউ ইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। এ জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করেছেন ক্যারোল। তবে এই মামলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়। তারা এই মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রেসিডেন্টের আইনগত বিষয় দেখাশোনা করে বিশেষ করে তার প্রাইভেট আইনজীবীরা।
ক্যারোল তার মামলায় বলেছেন, তার দাবিকে প্রেসিডেন্ট প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সে (ক্যারোল) আমার উপযোগী নয়। এতে তার মানহানী হয়েছে বলে দাবি করে মামলায় আর্জি তুলেছেন ক্যারোল।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীরা মঙ্গলবার আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন যে, সরকারের এটর্নিদের মাধ্যমে নিজের পক্ষাবলম্বন করতে পারেন ট্রাম্প। কারণ, প্রেসিডেন্ট ক্যারোলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর তিনি এখন প্রেসিডেন্ট। এর ফলে এই মামলাটি রাজ্যের আদালত থেকে একটি ফেডারেল আদালতে স্থানান্তরিত হতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের আইনজীবীরা ফেডারেল টর্ট ক্লেইমস অ্যাক্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, এই আইনের অধীনে মার্কিন সরকারের কর্মকর্তারা মামলা থেকে দায়মুক্তি পেতে পারেন।
তবে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের আইন বিষয়ক প্রফেসর স্টিভ ভøাদেক সিএনএনকে বলেছেন, মানহানির জন্য ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে বিচার করা যায় না। এক মাস আগে রাজ্যের একটি আদালত ঘোষণা দেয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মানহানি মামলা থেকে আইনগত দায়মুক্তি পেতে পারেন না। এরপরই এমন উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
মিস ক্যারোলের আইনজীবী দল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি অনুরোধ করেছেন ডিএনএ নমুনা দিতে। যা দিয়ে ক্যারোলের কালো একটি পোশাকে লেগে থাকা ‘জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল’ যাচাই করা যায়।