ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, প্রধান শিক্ষক বহিষ্কার
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় ২২নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার ও ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন কুমার ঢালী।
বহিষ্কৃত শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের মুশুশিয়া গ্রামের ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর ছেলে।
জানা যায়, হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রীর মা আজ শনিবার এলাকার মহিলাদের নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে গুরুদাস মিস্ত্রীকে মারধর করে স্কুলের লাইব্রেরীতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন কুমার ঢালী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জনরোষ থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর মা বলেন, প্রধান শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার গুরুদাস মিস্ত্রী আমার মেয়েকে ছুটির পরে বিদ্যালয়ে থাকতে বলে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় মেয়ে কোনো মতে তার কাছে থেকে ছুটে আসে। বাড়িতে এসে সে বিষয়টি আমাকে জানায়। তাই আমরা সবাই একত্রীত হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি।
তিনি আরও বলেন, গুরুদাস মিস্ত্রী এর আগেও এই বিদ্যালয়ে এ ধরণের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা তার শাস্তি চাই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুন কুমার ঢালী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার ও ওই বিদ্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহার করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে গুরুদাস মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে গুরুদাস মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।
কোটালীপাড়া থানার ওসি(তদন্ত) মো. জাকারিয়া বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত ও ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।