চট্টগ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ ২৪ মে সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
করোনার কারণে লাগাতার বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হল খোলা ও কলেজের বেতন মওকুফেরও দাবি জানান তারা। এই সময় এমবিবিএস পরীক্ষার্থী ইমন বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি দেশের ৯৫ ভাগ অভিভাবকদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। অভিভাবকরা চায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক। আপনি ভয় পাচ্ছেন। ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দারিদ্রতার কারণে পড়াশোনা ছাড়ছে। এর দায় কে নিবে?
চবি শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমাদের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। অসমাপ্ত শিক্ষাজীবন নিয়ে চাকরির কোনো সুযোগ নেই। পরিবার থেকে প্রতিনিয়ত চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে। দেশের সবকিছু সচল, কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অচল। আরেক শিক্ষার্থী ফারদিন বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আমার অনার্স শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা আজ কোথায়? বলা হচ্ছে ভ্যাকসিন দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কিন্তু কোথায় সেই ভ্যাকসিন? আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেই ভ্যাকসিন দেওয়া হোক।
সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী প্রান্ত বড়ুয়া বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি পেছানোর ফলে মানসিক চাপ ও পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
আরেক শিক্ষার্থী সাইফুর রুদ্র বলেন, আমাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংসের পথে। শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে প্রবাসে বা দিনমজুরের কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষা নেওয়ার কথা চলছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে থাকে। যেখানে নেট কানেকশন পাওয়াই বড় দায়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা করবে কিভাবে?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, চবি শিক্ষার্থী ওসমান, সুধী কুমার তঞ্চঙ্গা, জিলানী, দোসর রহমান, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সায়মন, চট্টগ্রাম সিটি কলেজে শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, প্রান্ত প্রমুখ।