চট্টগ্রামে পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
আজ রবিবার সকাল ১১ টায় আগ্রাবাদ বাদামতলীর বড় মসজিদ গলিতে মারুফকে হত্যা পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ও এসআই হেলালের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম ।
যুগ্ম-আহবায়ক তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম-আহবায়ক এরশাদ,জুবায়ের সদস্যদের মধ্যে শাহাদাৎ, মিনহাজ ও আশ্রাফসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, মা-বোন লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ও সালমান ইসলাম মারুফের আত্মহত্যার পর শুধু সাসপেন্ড কোন শাস্তি হতে পারে না। অবিলম্বে সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে এসআই হেলালকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। এই এসআই হেলালের বিরুদ্ধে স্পেশাল টিমের নামে নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে, জমি দখলের পাশাপাশি মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় ছিল তার কৌশল।
বিশেষ অভিযানের নামে কথিত সোর্সদের সাথে নিয়ে ইউনিফর্ম ছাড়াই পুরো এলাকা চষে বেড়াতেন, তার সাথে সব সময় দেখা যেতো তার কথিত সোর্স ১৫ মামলার আসামি শুপাড়ি পাড়ার চান্দু, টিটু, সোহাগ, মেহেদী, টোকাই রুবেলকেও।
তারা আরও বলেন, চট্রগ্রামের ডবলমুরিং থানার এসআই হেলালের দ্বারা দশম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মারুফের মা-বোনকে লাঞ্ছিত হওয়ার কারণে মারুফ আত্মহত্যা করেছে। এসআই হেলালের এক সোর্স মারুফদের বাড়ির আশপাশের সন্দেহজনকভাবে উঁকিঝুঁকি মারছিলো। কিশোর মারুফ তাকে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে সন্দেহজনক পুলিশের সোর্সকে বাঁচাতে ও তাকে ধরার জন্য কিশোর মারুফকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে এসআই হেলাল। বাড়িতে কিশোর হেলালকে ধরতে আসলে কিশোর মারুফের মা ও বোন বাঁধা দেয়। তখন মা বোনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে পুলিশ। এরপর কিশোর মারুফ আতঙ্কিত হয়ে রুমে গিয়ে গলায় ফাঁসি দেয়।
বক্তারা এই মানববন্ধন থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচীর হুঁশিয়ারী দেন। পরে বিক্ষোভ শেষে মিছিল বের করা হয়, এই সময় ৩০-৪০ জন ছাত্র মিলে পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।