খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে পাসপোর্টের আবেদন
বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন পাসপোর্টের আবেদন করা হয়েছে। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নতুন পাসপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
বিএনপির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, এমআরপি পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই শর্ত শিথিল করা হয়েছে। তাকে বিনা ফিঙ্গার প্রিন্ট ও স্বাক্ষরে নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তার পক্ষে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনি দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট পাবেন’।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ ২০১৯ সালে শেষ হয়ে যায়। তাই তার নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া যেকোনো দিন বিদেশে যাচ্ছেন বলে গতকাল সারা দেশে আলোচনা চলছিল। সরকার অনুমতি দিলে করোনায় পরবর্তী জটিলতার উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যেকোনো দিন লন্ডন অথবা সিঙ্গাপুরে যাবেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে এরই মধ্যে সরকারের কাছে লিখিত আবেদন করেছে তাঁর পরিবার। সরকারও বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবার জানিয়েছে তাঁর বিদেশে চিকিৎসা করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অত্যন্ত মানবিক। আমরা আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখছি। ইতিবাচকভাবে দেখছি বলেই দণ্ড স্থগিত করে তার পছন্দমতো জায়গায় চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে।