‘খালেদার চিকিৎসাকে আড়াল করতেই মুরাদকে সামনে আনা হয়েছে’
অশালীন নানা বক্তব্যের জন্য রাজনীতির মাঠে আলোচিত সমালোচিত নাম ডাক্তার মুরাদ হাসান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আক্ষেপ করে বলেন, মুরাদ নাকি এক সময় ছাত্রদল করতেন। মহাসচিবের এমন বক্তব্যে বিব্রত দলের নেতারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, মহাসচিবের এমন বক্তব্য বিব্রতকর।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলেন, বিএনপি একটি সভ্য মানুষের দল। এই দলে মুরাদের মতো অসভ্য লোক থাকতে পারে না। মহাসচিব হয়তো অসচেতনভাবে এমন মন্তব্য করেছেন।
ডাক্তার মুরাদকে তার আচরণের খেসারত দিতে হয়েছে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে। যদিও এই শাস্তিকেও যথেষ্ট মনে করছে না বিএনপি।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, মুরাদ শুধু পদত্যাগ করলেই হবে না। তাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে।
ডাক্তার মুরাদকে রাজনৈতিক স্বার্থেই ব্যবহার করা হয়েছে বলে মত বিএনপির নীতি নির্ধারকদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি এবং বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা ধামা চাপা দিতেই সরকার মুরাদকে সামনে নিয়ে এসেছে।